জেলা সংবাদ

লোভে পরে শিশু অপহরণ, স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

সাপ্তাহিক আড়াইহাজার: নারায়ণগঞ্জের পাগলা এলাকার একটি খেলার মাঠ থেকে গত ২০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকালে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। এরপর চাওয়া হয়েছে মুক্তিপন। শুক্রবার ভোর রাতে ফতুল্লার বিসিক এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আটককৃত ব্যক্তি, পশ্চিম দেওভোগ এলাকার শাহ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের পুত্র ২৪ বছর বয়সী শাহ মো. আজমির ও তাঁর স্ত্রী ২২ বছর বয়সী ইমু আক্তার।

পুলিশ বলছে, টাকার লোভে এবারই প্রথম অপহরণ করে শিশুটিকে কিন্তু গ্রেপ্তার হতে হয়। এ ঘটনায় সকালে শিশুর বাবা আব্দুল হক বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, ২০ অক্টোবর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পাগলা বাসার সামনে খেলার সময় তার ছয় বছর বয়সী শিশু মেয়ে সানজিদা নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে রাত সাতটার দিকে আজমির স্থানীয় ফ্যাক্সি লোডের দোকান মালিক আরিফের ফোনে ফোন করিয়া জানায় সানজিদাকে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে শিশুর বাবা- মায়ের সাথে কথা বলতে চায় অহরণকারী। পরবর্তীতে ফ্যাক্সি লোড দোকানী আরিফ বাদীর স্ত্রীকে ডেকে এনে বিস্তারিত জানিয়ে গ্রেপ্তারকৃত আজমিরীর ফোন নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করার জন্য বলে। তারা যোগাযোগ করলে শিশুটির মুক্তিপণ হিসেবে প্রথমে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে এক পর্যায়ে ১২ হাজার টাকা দাবী করে। তখন বিষয়টি মৌখিক ভাবে পুলিশকে অবগত করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতের দাবীনুযায়ী প্রথমে বিকাশ নাম্বারে দুই হাজার টাকা প্রদান করে এবং বাকী দশ হাজার টাকা সরাসরি দেওয়া হবে বললে অপহরণকারী আজমির তাদেরকে বিসিক এলাকায় যেতে বলে। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে আজমিরকে গ্রেপ্তার করে ও পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার স্ত্রী ইমু আক্তারকে গ্রেপ্তারসহ উদ্ধার করে অপহৃত শিশুটিকে।

আরও পড়ুন >   সোনারগাঁয়ে ফেসবুকে হাহা রিয়েক্ট দেয়ায় ২ জনকে কুপিয়ে জখম

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত স্বামী বিসিকের একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি করেন। আর স্ত্রী গৃহিনী। টাকার লোভে এবারই প্রথম অপহরণ করেছিলো তারা। কিন্তু পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে গেছেন।

আরও দেখুন

সম্পৃক্ত

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button