মোঃ এফরান আলীঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা। এখানে অনেকগুলো প্রকল্প কাজ চলমান। তিনটি ফাস্ট ট্রাকসহ ৪৬টি ছোট বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করছে। জনগণ আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে। কাজেই আন্দোলন-সংগ্রাম করে কেউ কিছু করতে পারবে না। দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি আর কেউ রুখতে পারবে না।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটা স্পেশাল ইকোনমিক জোন করা হবে, যেটাতে জাপান বিনিয়োগ করছে। এর মাধ্যমে এখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। রূপগঞ্জের পূর্বাচল একটি স্মার্ট সিটি হবে। সেই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ শহরকে আমরা স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আওয়ামী লীগ কথা দিয়ে কথা রাখে। গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। দেশ দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে। আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ঢাকার যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে মেট্রোরেল চালু করা। আমরা সেটা করেছি। জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আমরা ক্ষমতায় আসিনি। আমরা জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এসেছি। পাতালরেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হলো এবং পাতালরেলে বাংলাদেশের নবযাত্রা শুরু হলো।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) নায়ায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্পের (এমআরটি লাইন-১) নির্মাণকাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, বাংলাদেশে জাইকা’র চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুছি তোমোহাইড, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমটিসিএল) এম এ এন সিদ্দিক প্রমুখ।
দুর্নীতির প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন, দুর্নীতির প্রশ্নই ওঠে না। যতই আন্দোলন করুক কেউ কিছু করতে পারবে না যতদিন জনগণ আমাদের সাথে আছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। এ সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা করেছে বাংলাদেশ। আমাদের কেউ থামাতে পারবে না। কোনো ধনী দেশ বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন দিতে পারেনি। করোনার সময় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়েছি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি প্রসঙ্গে বলেন, কোনো জায়গা খালি রাখবেন না। যেখানে যা পারেন তা চাষাবাদ করেন। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেন।