আড়াইহাজার প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ণ পরিষদের মধ্যে আওয়ামীলীগের দলীও ও মনোনীত ৬টি ইউনিয়ণ পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। বাকী চারটি ইউনিয়ণ পরিষদের মধ্যে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনীত নৌকা প্রতিককে নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে উচিৎপুরা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মো: ইসমাইল হোসেন এর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিদ্রোহী প্রার্থী মো: আলমগীর হোসেন আনারস প্রতীকে নির্বাচন করেন, এই নির্বাচনে বিজয়ী হন নৌকার প্রতিকে মো: ইসমাইল হোসেন। খাগকান্দা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মো: আরিফুল ইসলাম এর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিদ্রোহী প্রার্থী মো: নজরুল ইসলাম আনারস প্রতীকে নির্বাচন করেন, নির্বাচনের ফলাফলে বিজয়ী নৌকার প্রতিকে মো: আরিফুল ইসলাম। সাতগ্রাঁম ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী অদুদ মাহমুদ অদুদ এর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিঞা মোঃ সেলিম আনারস প্রতীকে নির্বাচন করেন, নির্বাচনের ফলাফলে নৌকার প্রতিকে অদুদ মাহমুদ অদুদ বিজয়ী হয়েছেন। কালাপাহাড়ীয়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মো:সাইফুল ইসলাম স্বপন এর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো: ফাইজুল হক ডালিম আনারস প্রতীকে নির্বাচন করেন, এই নির্বাচনে আনারস প্রতিকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয় মো: ফাইজুল হক ডালিম ।
আওয়ামীলীগ সমর্থিত ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নিবাচিত হন। তারা হল দুপ্তারা ইউনিয়নে মো: নাজমুল হক, ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নে মো: লাক মিয়া, হাইজাদী ইউনিয়নে আলী হোসেন ভূইয়া,ফতেপুর ইউনিয়নে আবু তালিব ও মাহমুদপুর ইউনিয়নে আমানউল্লাহ আমান।
চেয়ারম্যান প্রার্থীদেরকে নিয়ে নির্বাচন সহজভাবে সমর্থন করলেও ১০টি ইউনিয়ণ পরিষদের নিবার্চনের সাধারণ সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের মেম্বারদের মধ্যে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ভোটারদের ধারে ধারে গিয়ে নিজেদের ঘাম ঝরিয়ে নির্বাচন করতে হয়েছে। বিজয়ী প্রার্থীদের পক্ষে অপরাজিত প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের উপরে হামলা ও বাড়ীঘড় ভাঙ্গচুরের অভিযোগ উঠেছে।