স্টাফ রির্পোটার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আগুন সন্ত্রাস, মানুষের জানমালের ক্ষতি ও বিশৃঙ্খলার দায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এড়াতে পারবে না। শনিবার নিজেরাই একটা ঘটনা ঘটিয়ে আজকে তারা হরতাল ডেকেছে। ডেমরায় তারা গাড়ি পুড়িয়েছে। বিএনপি ২০১৪ সালের মতো আবার আগুন সন্ত্রাসে নেমেছে।
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকায় মহাসমাবেশ চলাকালে তারা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলাসহ গাড়িতে আগুন দিয়েছে, পুলিশকে হত্যা করেছে, সাংবাদিকদেরও মেরেছে। এর দায় তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদেরই নিতে হবে। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং অচিরেই তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর কোথাও প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলার নজির নেই। আমাদের ১০০ পুলিশ আহত হয়েছে। বৃষ্টির মতো ঢিল ছুঁড়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। ব্যাগে করে ঢিল ও ককটেল নিয়ে এসেছিল। সেখানে ঢিলে আহত এক পুলিশ সদস্যকে ওদের এক ছাত্রদল নেতা পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমাদের আরেকজন পুলিশ সদস্য মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশটির দূতাবাস থেকে তার দেওয়া পরিচয় অস্বীকার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বলে শনাক্ত হয়েছে। তার ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তারা (বিএনপি) শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল। সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীদের তারা নিয়ে এলো। আমরা বলেছিলাম মাঠে যান, যায়নি। ভেবেছিলাম ওরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করবে। কিন্তু কী দেখলাম। আমাদের শান্তি সমাবেশে মানুষ গুনে শেষ করা যায়নি। এত মানুষ ছিল সেখানে। আমার নির্বাচনী এলাকা দিয়েই তারা সমাবেশে যাচ্ছিল, প্রধান বিচাপতির বাসভবনের সামনে। সেখানে ওরা আমাদের একটি গাড়ি পুড়িয়ে দিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি। পরে প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও ওরা হামলা করে। ইসরায়েলে দেখেছি হাসপাতালে আক্রমণ করতে। একইভাবে ওরা হাসপাতালে আক্রমণ করেছে। মারপিট করেছে, ভাঙচুর করেছে। আমরা দেখলাম গাড়িতে অগ্নিসংযোগ। পুলিশ নাইটেঙ্গেলের মোড় থেকে আর সামনে এগিয়ে যায়নি।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।