অর্থনীতি

দেশে আসছে রয়েল এনফিল্ড

রাজকীয় মোটরসাইকেলের কথা বললেই সবার আগে নাম আসে রয়েল এনফিল্ডের। তুমুল জনপ্রিয় এ বাইক বাংলাদেশের বাইকারদের কাছেও সমান জনপ্রিয়। এবার দেশের বাজারে আসতে চলেছে রয়েল এনফিল্ড। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশ’ নামে পেজের যাত্রা শুরু হয়েছে।

দেশে চলতি মাসের মাঝামাঝি বা শেষ দিকে রয়েল এনফিল্ড বাজারে ছাড়া হতে পারে বলে জানা গেছে। ইফাদ মোটরস এ মোটরবাইক বাজারে আনছে। এ বাইক বাজারজাতকরণ উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রদর্শনী কেন্দ্র প্রস্তুত হচ্ছে। এতে মোটরসাইকেলের নানা আনুষঙ্গ ও যন্ত্রাংশও পাওয়া যাবে। প্রদর্শনী কেন্দ্রে বাইকের পুরো সংগ্রহ এবং রাইডিং গিয়ার থাকবে।

রয়েল এনফিল্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় ৩৫০ সিসির ইঞ্জিনের বুলেট, ক্লাসিক, মিটিওর ও হান্টার, ৪১১ সিসির স্ক্রাম, ৪৫০ সিসির গুয়েররিল্লা, হিমালয়, ৬৫০ সিসিতে শর্টগান, সুপার মিটিওর, ইন্টারসেপ্টর ৬৫০ এবং কন্টিনেন্টাল জিটি ৬৫০ মডেল। তারা ৩৫০ থেকে ৬৫০ সিসির বাইক তৈরি করে। তবে দেশে ১৬৫ সিসির বেশি নিষিদ্ধ থাকায় এত দিন পর্যন্ত এ বাইক দেখা যায়নি। তবে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত অনুমতি পাওয়ায় দেশের বাইকারদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়ে।

যুক্তরাজ্যে ১৯০১ সালে যাত্রা শুরু রয়েল এনফিল্ডের। দুই ব্রিটিশ উদ্যোক্তা বব ওয়াকার স্মিথ এবং অ্যালবার্ট ইডি প্রথম মোটরসাইকেল তৈরি করেন। স্ট্যানলি সাইকেল প্রদর্শনীতে মোটরসাইকেলটি দেখান তারা। এতে বাইকারদের মন জয় করেন তারা। ১৯৫৫ সালে ভারতের মাদ্রাজ মোটরসের সঙ্গে চেন্নাইয়ে সংযোজন কারখানা স্থাপন করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ভারতের বাজারে আধিপত্য দেখায়।

আরও পড়ুন >   আসছে নতুন রৌপ্যমুদ্রা, বাংলাদেশ–জাপান সম্পর্কের ৫০ বছর

এ বাইক বিশ্বস্ততা ও আস্থাতেও এগিয়ে যায়। হলিউড, বলিউডের জনপ্রিয় তারকা এবং খেলোয়াড় রয়্যাল এনফিল্ড পছন্দ করেন। প্রায় অর্ধশত দেশে রয়েল এনফিল্ডের জনপ্রিয়তা রয়েছে। এ ব্র্যান্ডের স্লোগান ‘মেড লাইক এ গান’। যার অর্থ তুলনাহীন স্থায়িত্ব এবং প্রকৌশল দক্ষতা। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈনিকদের বিশ্বস্ত সঙ্গী হওয়ার পাশাপাশি হিমালয় পর্বতমালায় যাত্রা সম্পন্ন করে রেকর্ড করেছে।

ইফাদ মোটরস দেশে রয়েল এনফিল্ড উৎপাদন এবং বিপণনের ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি কুমিল্লার সর্বাধুনিক উৎপাদন কেন্দ্র বসিয়েছে। এটি বিশ্বমানের মোটরসাইকেল উৎপাদন করতে সক্ষম। দেশে রয়্যাল এনফিল্ডের বুলেট, ক্লাসিক, মিটিওর এবং হান্টার পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশে উৎপাদন এবং সংযোজন হওয়ায় দামও গ্রাহকদের হাতের নাগালে থাকবে।

আরও দেখুন

সম্পৃক্ত

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পড়ুন
Close
Back to top button