সারাদেশেআড়াইহাজার উপজেলা

উন্নয়ণের ছোয়ায় বদলে যাচ্ছে আড়াইহাজার

মোঃ এফরান আলী: রাজধানী ঢাকার অদূরে তাঁতশীল্প নগরী ও কৃষিনির্ভরশীল এলাকা নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা। তাঁত কাপড়ের বাজার বান্টি ও গোপালদী বাজার এ উপজেলায় অবস্থিত। সবজির ভাল ফলন হয় বলেও খ্যাতি রয়েছে এই এলাকায়। প্রচুর পরিমাণে সবজি, ধান, সরিষা, মাছ চাষ, গৃহপালিত পশুর ফার্ম ও দেশীয় ফল উৎপাদনেও রয়েছে সুনাম। এছাড়াও মেঘনা নদী থেকে জেলেরা মাছ আহরণ করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। দেশের সর্বত্র লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া, তার মধ্যে আড়াইহাজার উপজেলা অন্যতম। মেঘনা, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী বেষ্টিত এ উপজেলা। উপজেলাটি ১০টি ইউনিয়ন, ২টি পৌরসভা (আড়াইহাজার ও গোপালদী) নিয়ে গঠিত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আ.লীগ সরকার দেশকে উন্নয়নের দূর্বার গতিতে যেমন এগিয়ে নিচ্ছেন ঠিক তখনই এ সংসদীয় আসনের একজন সফল সাংসদ উন্নয়নের রূপকার হিসেবে ঢাকার পূর্বাঞ্চলবাসীর আশার বাতিঘর হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম বাবু এমপি। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে সুনাম অর্জন করেছেন। এ উপজেলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশ পরিচালনার সময় যে উন্নয়ন হয়েছে তার বিন্দু মাত্র উন্নয়ন মূলক কাজ বিগত কোন সরকারের আমলে হয়নি বলে স্বীকার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মেঘনা নদী বেষ্টিত বিশনন্দী-হেমনা-বাঞ্চারামপুর এলাকার যোগাযোগ মাধ্যম মেঘনা নদীতে ফেরী সেবা চালু করেন। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নে নতুন রাস্তা ঘাট নির্মাণ ও সংস্কার, আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ছোট-বড় কালভার্ট নির্মাণ, আধুনিক হাসপাতাল, শিশু একাডেমি, বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ, শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, মসজিদ, মন্দির নির্মাণ ও সংস্কার, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করে আ.লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম বাবু ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ালীগের সভাপতি হয়ে শেখ হাসিনা সরকারের ভিশনকে বাস্তবায়ন করতে বিরামহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন >   জাতীয় নিট ডাইং শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের র‌্যালী ও পথসভা অনুষ্ঠিত

সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু প্রতিনিধিকে বলেন, প্রথমে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ ৭৫’র কালরাত্রিতে নিহত সকল শহিদদের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তনয়া দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন আ.লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। শেখ হাসিনার আশীর্বাদে তিনবার সংসদ সদস্য হয়ে আমার উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন মুলক কাজ করেছি। এরমধ্যে অন্যতম নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের কালপাহাড়িয়া-খাগকান্দা-বিশনন্দী মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য পাকা রাস্তা, বিদ্যুৎ, বাঁধ ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছি, এতে চরাঞ্চলবাসী নদী ভাঙ্গন ও বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে। স্বাস্থ্যসেবায় উন্নয়নে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০শয্য থেকে ৫১শয্য হাসপাতালার রূপান্তনর নির্মাণ করেছি। এতে করে আড়াইহাজার ও আশপাশের এলাকাবাসীর জরুরী উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হবে। এছাড়াও উপজেলা পাবলিক লাইবেরী, কৃষি ইনস্টিটিউট, কেন্দ্রী শহিদ মিনার, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনিষ্টটিউট সহ বিভিন্ন শিশু একাডেমি, উপজেলা পরিষদের ডাকবাংলো, মসজিদ-মন্দির সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং অসংখ্য স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা উন্নয়ন ও নতুন ভবন নির্মাণ আজ দৃশ্যমান।

সকল উন্নয়নের দাবীদার বঙ্গবন্ধুর তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশেই গ্রামকে আজ শহরের আদলে সাজিয়েছি। আড়াইহাজারকে বিএনপির ঘাঁটি থেকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে পরিণত করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে সততার সাথে রাজনীতি করে আসছি। তিন তিনবার আমাকে এলাকাবাসী ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছেন। আমি আমার উপজেলায় সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত আধুনিক পরিকল্পিত শিক্ষাবান্ধব মডেল উপজেলা গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের কষ্ট এবং বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে খুব কাছ থেকে সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করছি। সমাজের অসচ্ছল অসহায় গরিব, বিধবা, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী মানুষের সহায়তা করে যাচ্ছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাধারণ মানুষের স্বার্থে উন্নয়ন মূলক কাজের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছি। করোনা কালিন সময়ে সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী গরিব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছি। উন্নয়ণের ধারা চলমান রাখতে দলের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে আবারও দল থেকে মনোনয়ন দিয়ে বেছে নিয়েছেন। আগামী ৭ই জানুয়ারী জাতীয় নির্বাচনে এ এলাকায় ৯০% সাধারণ মানুষের ভোট পেয়ে আবারো বিজয়ী হবো।

আরও পড়ুন >   আড়াইহাজারে অপহরনের সময় জনতার হাতে নারী আটক

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, আড়াইহাজার উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আ.লীগ সরকারের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে তা ১০টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার মানুষের দৃশ্যপট পাল্টিয়ে দিয়েছে। তা সম্ভব হয়েছে নজরুল ইসলাম বাবুর কল্যাণে। তিনি আমাদের উপজেলার প্রতিটি এলাকা আদলে সাজিয়েছেন। রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, ড্রেনেজ, স্টেডিয়াম, অডিটোরিয়াম, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন গুলোতে মসজিদ, মন্দির, মাদরাসা, ঈদগাহ, কবর স্থান-শ্মশান ঘাটে ব্যাপক অনুদান ও আসের্নিক মুক্ত সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপের ব্যবস্থা, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত আধুনিক ডিজিটাল ইউনিয়নে রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সাধারণ ভোটারদের জরিপে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন এমপি বাবু। আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম বাবু ১০ই মার্চ ১৯৬৭ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ণের বাজবী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। সহধর্মিণী ডাঃ সায়মা ইসলাম ইভা, তিনি বর্তমান আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছেন। বর্তমানে তাদের এক ছেলে সন্তান আছে। দুপ্তারা সেন্ট্রাল করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে এসএসসি, ১৯৮৪ সালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এইচ এস সি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক এবং সবশেষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্সসহ এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলায় নেত্রী শেখ হাসিনার সাথে গুরুতর আহত হন বাবু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহধন্য এই নেতা নৃশংস গ্রেনেড হামলায় আহত হওয়ার পাশাপাশি এক-এগারোর সময়ে কারাবন্দি শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। তিনি ১৯৮৮ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করে সাড়ে তিন মাস এবং বিএনপি জোট সরকারের সময় ২০০২ সালে গ্রেফতার হয়ে ১১ মাস কারাভোগ করেন। কারান্তরীণ থাকাকালেই ২০০২-২০০৬ মেয়াদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে জনগণের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এমপি নির্বাচিত হোন। নির্বাচিত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি একে একে বাস্তবায়ন করতে থাকেন। নজরুল ইসলাম বাবু সততা, মেধা ও বিশ্বস্ততায় শহর-গ্রামের বৈষম্য দূর করে প্রতিটি গ্রাম এখন বসবাসযোগী হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি থেকে শুরু করে প্রসার ঘটেছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগুলোতে রাস্তাঘাট, সুউচ্চ ভবন দেখলে মনে হয় শহরের বাইরে যেন আলাদা আরেকটা শহর। প্রতিটি গ্রামে রাস্তাঘাট নির্মাণ, বিদ্যুতায়ন, শিক্ষা, ধর্মীয় সামাজিক প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরণসহ সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধিত হয়েছে।

আরও পড়ুন >   কর্মস্থলে যোগদানের প্রথমদিন পার করলেন সংসদ হুইপ বাবু
আরও দেখুন

সম্পৃক্ত

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button