স্টাফ রির্পোটার: নারায়াণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের শালমদী এলাকার বাবুলের ছেলে রিয়াদ (৭) নিখোঁজের ৩দিন পর পুকুর থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে স্থানীয় একটি পুকুরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশুটি। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সালামদী গ্রামের একটি পুকুর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, সোমবার দুপুরে স্থানীয় একটি পুকুরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু রিয়াদ। পরে ৩দিন পর ওই এলাকার জিলানী নামে এক ব্যক্তির পুকুরে শিশুর মরদেহ ভেসে ওঠে। এদিকে. বুধবার সুফিয়া নামে এক নারী গোসল করতে গিয়ে ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীকে খবর দেন। পরে মৃতের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে রিয়াদের লাশ শনাক্ত করেন।
পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, শিশু রিয়াদকে পুকুরের মালিক জিলানী হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দিয়েছে। রিয়াদ নিখোঁজ হওয়ার পর এলাকায় মাইকিং করা হয়েছিল। এছাড়াও ওই পুকুরে কয়েক দফায় জাল দিয়ে রিয়াদকে খোঁজা হয়।
নিহত শিশুর বাবা বাবুল জানান, তার ছেলে রিয়াদসহ এলাকার আরও তিনশিশু এক সময় ওই পুকুরে গোসল করতে যায়। পরে তিন শিশু ফিরে আসলেও রিয়াদ ফিরেনি। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে। কিন্তু কোন হদিস পাওয়া যায়নি। তিনদিন পর ওই পুকুরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিশু রাকিব বলেন, আমি ও রিয়াদসহ চারজন পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় জিলানী আমাদের ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে আমাকে ধরে ফেলে। পরে আমার পায়ে পারা দিয়ে বলে আমাকে মেরে ফেলবে। চোখ তুলে ফেলবে। পরে স্থানীয় এক নারী আমাকে উদ্ধার করে। এ সময় ধাওয়া খেয়ে রিয়াদ অন্যদিকে চলে যায়। পরে সে আর বাড়িতে ফিরেনি।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত জিলানীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া না যাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আড়াইহাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈকম বলেন, আমরা স্থানীদের থেকে জানতে পারি গত পরশু শিশুটি মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে পুকুরের মধ্যে অনেক খুজাঁখুজিঁ করা কিন্তু পাওয়া যায়নি। আজ সকালে স্থানীয় এক নারী সেখানে গোসল করতে গেলে তার গায়ের সাথে লাশের ধাক্কা লাগে। পরে ওই নারী অন্যদের ডেকে এনে দেখালে, সাবাই ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে। শিশুটি নাকে রক্তের চিহ্ন ছিলো আর চোখ গুলো লাল ছিলো, এছাড়া গায়েঁ কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলো না।
তিনি আরও বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। বৃহস্পতিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে পাঠাবো। এছাড়া এ ঘটনায় অভিযোগ করা হবে। বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষ বলা যাবে।