সারাদেশে

আড়াইহাজারে অপহরণের পর নির্যাতনে আহত চাল ব্যবসায়ীর মৃত্যু

স্টাফ রির্পোটার: নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার ইব্রাহিম(৪২) নামের অপহৃত এক চাল ব্যবসায়ী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাতে এ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

গত ৩০ জুন বেলা ১টার দিকে আড়াইহাজার থানা থেকে কিছু অদূরে চৌধুরীপাড়া জৈনক দায়েন নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন(৫তলা) ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার হাত ও পা রশি দিয়ে ও মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিল। ২৯ জুন বেলা ১টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চাল কিনতে ১ লাখ টাকা নিয়ে আড়াইহাজার পৌরসভা বাজারে গিয়ে তিনি অপহরণের শিকার হন। তার ব্যবহারের মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সন্দেহ হলে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়।

তাকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সর্বশেষ তাকে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রাতে এই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২৯ জুন বেলা ১টার দিকে চাল ব্যবসায়ী ইব্রাহিম নিজ বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে আড়াইহাজার পৌরসভা বাজারের পাইকারী চালের দোকানে চাল কিনতে যান। বিকালে হঠ্যাৎ তার ব্যবহারের মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবারের সন্দেহ তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। তাতে কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। জিডি নং-১২১২/২১ইং। পরে পুলিশ তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।

আরও পড়ুন >   আড়াইহাজারে স্ত্রীকে হত্যা করে মাটিতে পুতে রাখলো স্বামী

৩০ জুন বেলা ১টার দিকে আড়াইহাজার পৌরসভা বাজারের পাশে চৌধুরীপাড়া এলাকায় দায়েন নামে এক ব্যবসায়ীর (৫তলা) ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষে তালা বদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার হাত,পা দড়ি বাধা এবং মুখে গামছা দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় ছিল।

প্রধান অভিযুক্ত স্থানীয় ইলমদী কান্দাপাড়া এলাকার এনামুলসহ অজ্ঞাত আরও ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

মৃতের ছোট ভাই কাইয়ুম বলেন, ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা পাওনা ছিল। মঙ্গলবার ১২টার দিকে আসলে ২১ হাজার টাকা দেবে বলে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে দায়েনের ভবনের নিচতলায় এনামুলের খালাতো বোনের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। আগে থেকে অবস্থানরত ৭-৮জন ব্যক্তি তাকে জোর করে একটি কক্ষে হাত ও পা গামছা দিয়ে ও মুখ পেঁচানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে ভাড়িওয়ালা জড়িত রয়েছেন।

আড়াইহাজার থানায় ওসি’র দায়িত্বে থাকা ওসি (তদন্ত) আনিচুর রহমান মোল্লা বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও দেখুন

সম্পৃক্ত

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button