সাপ্তাহিক আড়াইহাজার: নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে উন্নয়নের বিজয় মেলা নামে একটি আয়োজনে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়া খেলার আসর বসানোয় সাতজনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই মেলা বন্ধ করে তিনজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি বাকিদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে আড়াইহাজারের কৃষ্ণপুরা বৌ বাজার এলাকার মেলাটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশতিয়াক আহমেদের নেতৃত্বে চলে এ অভিযান।
জানা যায়, ২২ জানুয়ারি থেকে আড়াইহাজার পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর উন্নয়নের বিজয় মেলা করার জন্য তার নেতৃত্বে ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেন। তিনি মেলাটি চালু করেন। মেলার শুরু থেকে সেখানে জুয়া খেলা ও অশ্লীল নৃত্য আয়োজন করা হয়। স্থানীয়রা বারবার প্রতিবাদ করলেও অশ্লীল নৃত্য ও জুয়া খেলা বন্ধ হয়নি। এতে সামাজিক অবক্ষয়ের আশঙ্কা তৈরি হলে স্থানীয়রা প্রশাসনকে অবহিত করে।
প্রশাসন অবহিত হওয়ার পর ইউএনও ইশতিয়াকের নেতৃত্বে রাতেই অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা পেয়ে অশ্লীল নৃত্যে জড়িত চার তরুণী ও তিন জুয়াড়িকে আটক করে আনা হয়। পরে চার তরুণীকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বাকিদের দণ্ড দেওয়া হয়। এরপর মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- গাইবান্ধার পলাশবাড়ির মোখলেস শেখের ছেলে মজনু শেখ (৩২), মাদারীপুরের সদরের নূর আহমেদ হাওলাদারের ছেলে বাদশা হাওলাদার (৫০) ও কিশোরগঞ্জের নিকলীর তারু মিয়ার ছেলে সালাহউদ্দিন (৩০)। এর মধ্যে সালাহউদ্দিনকে দুই দিনের এবং বাকিদের তিন দিনের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ইউএনও ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে মেলা থেকে সাতজনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে তিনজনকে জেল ও বাকিদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। মেলাও বন্ধ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর বলেন, আমি মেলা করেছি তা সত্য। তবে মেলায় যে এমন ঘটনা বা এ ধরনের কর্মকাণ্ড হতো তা আমার জানা ছিল না। মেলার অশ্লীল নৃত্য ও জুয়া খেলার বিষয়টি জানতাম না আমি।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্ল্যাহসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।