আড়াইহাজার প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের সেন্দী তালিমুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষিকা মাফিয়া আক্তার এর বিরুদ্ধে মাদ্রাসার অর্থ আত্নসাৎ করায় আদালতে মামলা দায়ের করা হইয়াছে। এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার সেন্দী গ্রামের ডাঃ ওয়াজ উদ্দিন নিজস্ব অর্থায়নে সেন্দী তালিমুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই মাফিয়া আক্তার (৩৭) কে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এরপর থেকেই মাফিয়া আক্তার উক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উক্ত মাদ্রাসাটি পরিচালনা করার সমস্ত ব্যায়ভার মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ওয়াজ উদ্দিনের নিজস্ব অর্থায়নে হইতে দেয়া হয়। বিগত ১৫ ই ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির উপস্থিতিতে মাদ্রাসাটির বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব মাফিয়া আক্তারের কাছে চাইলে পরিচালনা কমিটির কাছে সঠিক জবাব উপস্থাপন করতে পারে নাই। সেন্দী তালিমুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডাঃ ওয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষিকা মাফিয়া আক্তারের বিরোদ্ধে জাল জালিয়াতির উদ্দেশ্যে জাল রশিদ সৃজন করে ৩,২০,০০০/- টাকা আত্নসাতের অভিযোগ এনে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালতে পিটিশন মামলা নংঃ ২০/২০২৩ দায়ের করেন।
মামলা পরবর্তীতে মাফিয়া আক্তারের সহযোগী এলাকার একটি অসাধু চক্র ওয়াজ উদ্দিনকে লাঞ্চিত করে সেন্দী তালিমুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসাটিতে তালা বদ্ধ করে দেয়। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ওয়াজ উদ্দিন মাদ্রাসাটি পূণরায় চালু ও খোলার জন্য এলাকার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতাদের নিকট ধর্না দিয়ে কোন রূপ সুরাহা করতে পারেননি। বরং উল্টো মাফিয়া আক্তারের লেলায়িত গুন্ডা বাহিনীদের দ্বারা ওয়াজ উদ্দিনকে প্রাণনাশ ও এলাকা ছাড়া করার জন্য হুমকি প্রদান করে আসছে। পরবর্তীতে অনন্যোপায় হয়ে ওয়াজ উদ্দিন তার প্রাণ রক্ষার্থে বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৭ ধারায় জান মালের নিরাপত্তা চেয়ে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নংঃ ৩৫২/২০২৩ ইং।
একাধিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করলে তারা জানান, আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অবিলম্বে খুলে দেওয়া না হলে অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে যাবে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা মাফিয়া আক্তার এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোন প্রকার সাড়া পাওয়া যায় নাই।
হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আলী হোসেন ভূইয়ার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি জানেন এবং অতি শীঘ্রই মিমাংশা করার চেষ্টা করবেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান উক্ত প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার্থে শিক্ষা বান্ধব গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এবং অসহায়ের নিরাপদ আশ্রয় স্থল বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।