স্টাফ রির্পোটারঃ নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজারে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন হাসিনা মমতাজ (৫৫)। বেশ আনন্দেই দিন কাটছিলো তাঁর। কে জানতো এই বেড়ানো হবে শেষ বেড়ানো। গত শুক্রবার রাতে ভবনে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় তিনি। টানা ৬দিন হাসপাতালের মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে পরাজিত হয়ে, অবশেষে শেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন দগ্ধ হাসিনা মমতাজ।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা যান তিনি। তথ্যটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মেডিকেল সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম।
এর আগে, শুক্রবার রাতে ভবনে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনার দিনই ১জন মারা যায়, দগ্ধ হয় আরও ৩জন। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরো দু্জন নিহতরা হলেন, সায়মা আক্তার (৪০), কানিজ খাদিজা নিপা (৩৯) ও সোহান (৪৫)।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মেডিকেল সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে হাসিনার মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে তাঁর শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।