আড়াইহাজার প্রতিনিধি: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিনদিনের অবরোধের প্রথম দিনে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারের পাচরুখিতে বিএনপি-পুলিশ ও আওয়ামী লীগের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছে। এসময় অবরোধকারীরা ২টি বাসে ভাংচুর চালায় ।
আহত তিন পুলিশ সদস্য হলেন, আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির, এএসআই মো. মতিন ও কনস্টেবল মো. নুরুল হক এবং দুই আহত আওয়ামী লীগের নেতা হলেন, থানার সাতগ্রাম ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল মোল্লা (৪৫) ও সালতা ইউনিয়নের তাঁতী লীগের সাবেক সহসভাপতি আল আমিন চৌধুরী (৩৫)। এরমধ্যে কনস্টেবল মো. নুরুল হক ও আওয়ামী লীগের ২ নেতাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির খসরু বলেন, অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপির লোকজন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার পুড়িয়ে অবরোধ করে৷ সেখানে কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে৷ এ সময় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাদের তিনজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে বিএনপির কর্মীরা৷ পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়৷
‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ বিপুল সংখ্যক শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে৷ এ সময় বিএনপি কর্মীদের ছোড়া ইট-পাটকেলে আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন৷’, বলেন এ পুলিশ কর্মকর্তা৷
বিএনপি কর্মীরা একজন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে৷ তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ বিএনপির হামলায় গুরুতর আহত অপর দু’জন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান আমির খসরু৷
কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক–বিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম সংঘর্ষে বিএনপির অন্তত ১৭ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘শুরুতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই সড়কে মিছিল করছিলাম। পুলিশ বিনা কারণে আমাদের ওপর হামলা করে। পরে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোকজন যুক্ত হয়। তাঁরা আমার বাড়িঘরও ভাঙচুর করেছেন।’
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটকের কথা জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন৷