আড়াইহাজার উপজেলাঅপরাধ

আড়াইহাজারে আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরেও হিন্দু পরিবারের উপর হামলা ও দখলের চেষ্টা

আড়াইহাজার প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রত্নগরদী এলাকার মৃত শর্গীয় মুনমোহন রিশির পুত্র হরিকৃষ্ণ রিশির নিজ নামের এস.এ আর.এস রেকর্ডীয় ও খরিদ সূত্রে জমি ও বাড়ির মালিক তার পরবর্তী ওয়ারিশ ও দখলীয় মালিক শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে ও ভোগ দখল করে আসছে। তারা হলো, মৃত হরে কৃষ্ণ রিশির পুত্র হরি চরণ রিশি, মৃত কালিচরণের পুত্র কার্তিক দাদ(৪৫), রঞ্জন দাস(৩০), সঞ্জন দাস (২৮), সনজীবন দাস(২২) সহ তারা বসবাস করে আসিতেছে।
এই হিন্দু পরিবার কে জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য স্থানীয় ভূমি দস্যূরা বিভিন্ন প্রকার জাল জালিয়াতি দলিল, ভুয়া কাগজ পত্র সাজিয়ে সংখ্যালুগু হিন্দু পরিবারকে বাড়ি জমি সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন মারপিট করে আসছে।
বিগত সময়ে তাদের সম্পত্তি আড়াইহাজার রেজিস্টার অফিসে রেজিস্ট্রীকৃত দলিল পাওয়ার অব এ্যাটর্নি যাহার দলিল নং:- ৩২১২ এর মূলে মোঃ এফরান আলীকে জমি, বড়ি সর্ব প্রকার আইনী আদালতে মামলা মোকদ্দমা পরিচালনা করার জন্য ক্ষমতা হস্তান্তর করে। এই সম্পত্তি নিয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের গ্রাম্য সালিশীর মাধ্যমে প্রধানের নিকট বিচার চেয়ে ব্যর্থ হন।
সম্প্রতি সময়ে ১৯/১১/২০২২ইং তারিখে বিজ্ঞ সিনিয়ির সহকারী জজ আড়াইহাজার আদালত, নারায়ণগঞ্জ দেওয়ানী মোকাদ্দামা নংঃ ৩৪৫/২০২২ইং, এ দলিল স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও বাতিলের মামলা করেন। শ্রী মাহাল চন্দ্র গং মামলার বাদী হয়ে মামলা দাখিল করেন। উক্ত আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মহাদয় মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদী গং দের আদালত থেকে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন নোটিশ দেন। নোটিশ পেয়ে বিবাদী আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে দুই দুইবার ধার্য তারিখে হাজির হয়ে আদালত থেকে সময় চায়।
১৬মে মঙ্গলবার, সকাল ৮টায় মামলার বাদীগং মাহাল চন্দ্র দাস, পিছিনা চন্দ্র দাস, রুবেল চন্দ্র দাস, সনকুমার, পলাশ দাস, মায়া রাণী, সেন্টু দাস তারা এলাকার স্থানীয় ভূমি সন্ত্রাসী ভোবন দাস(৫৫), সদন দাস(৫২), রাম প্রসাদ(৪২), বাবুল দাস(৩৫), রমেস দাস(৪০), লিটন দাস(৪৫), পরি দাস ওরফে লেঙ্গটা সহ প্রায় ৩০/৪৮জন মিলে গুন্ডা-বাহিনী নিয়ে কার্তিক দাস গংদের বসতবাড়ীর সিমানার পিলার জোড় পূর্বক ভাবে তুলে ফেলার চেষ্টার করে। এসময় বিবাদী রঞ্জন দাস, সঞ্জন দাস, মিন কুমারী তাদের সন্ত্রাসীরা বাধা দিতে আসলে বাধা দিলে ভূমি দস্যুরা মামলার বিবাদী গণদের কে মারপিট করে। পরে আম গাছ থেকে পাকা আম পেরে লুট পাট কওে নিয়ে যায়। ভূমি দস্যু মাহাল বাহিনী গংদের মার পিটে আহত হয় মিন কুমারী, রঞ্জন দাস, সঞ্জন দাস গুরুতর আহত হয়। আহতরা আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যায়।
আবারো যেকোনো সময় কার্তিক দাস গংদের উপরে হামলা স্বীকার হতে পারে এবং তাদের বাড়ীঘড় ভাঙ্গচুর লুটপাট ও জবরদখল করে নেওয়ার চেষ্ট করতে পারে। উচ্চ আদালতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মামলা চলমান থাকায় আড়াইহাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করলেও পুলিশ মামলা নেয়নি।

আরও পড়ুন >   আড়াইহাজারে মাদরাসা ছাত্রী অপহরণ মামলায় যুবক আটক

আরও দেখুন

সম্পৃক্ত

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button