স্টাফ রির্পোটার: গ্রাহকের এক টানা ৩ দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকলে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ওই মাসে গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো সেবামূল্য বা ইন্টারনেট বিল নিতে পারবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
গত ৫অক্টোবর বিটিআরসির পক্ষ থেকে সব ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (আইএসপি) কাছে পাঠানো এক নির্দেশনায় এ কথা জানানো হয়েছে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, গত ৬ জুন চালু করা ‘এক দেশ, এক রেট’ কর্মসূচির আওতায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সেবামূল্য ঘোষণা করা হয়। এবার সেবার মানদণ্ড জানানো হলো।
নির্দেশনায় বলা হয়, টানা এক দিন ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে গ্রাহকের কাছ থেকে ওই মাসে মোট বিলের ৫০ শতাংশ নেওয়া যাবে। টানা দুই দিন ইন্টারনেট না থাকলে নেওয়া যাবে মাসিক বিলের ২৫ শতাংশ অর্থ। তিন দিন ইন্টারনেট না থাকলে সে মাসে কোনো টাকাই নেওয়া যাবে না।
বিটিআরসি নতুন নির্দেশনায় আরও জানায়, সেবাদাতারা নতুন নতুন প্যাকেজ দিতে পারবে। তবে সেটা হতে হবে অনুমোদিত প্যাকেজের আদলে এবং গতির সর্বনিম্ন সীমা ৫ এমবিপিএস ঠিক রাখতে হবে। নতুন প্যাকেজের জন্যও অনুমোদন নিতে হবে। এর বাইরে কোনো প্যাকেজ দিলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে। অনুমোদিত সেবামূল্য আইএসপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। গ্রাহকের অভিযোগ (টিকেটিং নম্বরসহ) দ্রুত সমাধান করতে হবে এবং তথ্য অন্তত ছয় মাসের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
এদিকে ‘এক দেশ, এক রেট’ কর্মসূচির আওতায় গত জুনে তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। প্রথম প্যাকেজের মূল্য মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, গতি হবে ৫ এমবিপিএস (মেগাবিট পার সেকেন্ড)। দ্বিতীয় প্যাকেজের মূল্য মাসে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা, এর গতি ১০ এমবিপিএস। আর তৃতীয় প্যাকেজের গতি ২০ এমবিপিএস, দাম মাসে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকা। মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে একই মূল্যে ইন্টারনেট দিতে হবে। এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে শেয়ারড বা ভাগাভাগির (১:৮) ব্যান্ডউইডথের ক্ষেত্রে।
এছাড়া বিটিআরসির হিসাবে, গত আগস্ট শেষে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫০ হাজার। করোনাকালে ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দ্বিগুণ হয়েছে বলে মনে করছে বিটিআরসি।