সাপ্তাহিক আড়াইহাজার: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি দলের হুইপ হচ্ছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে চারবার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু সহ আরো ৪ জন।
১০ জানুয়ারি সংসদ সদস্যেদের শপথের দিন সরকারি দল থেকে জানানো হয়েছিলো চিফ হুইপ পদে নূর-ই আলম চৌধুরী (লিটন) বহাল থাকছেন। এছাড়া একাদশ সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বহাল থাকছেন।
নতুন মুখ হিসাবে এমপি বাবু ছাড়া আরও আছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজাসহ (নড়াইল-২) এবং সাইমুম সরওয়ার কমল (কক্সবাজার-৩)।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, চিফ হুইপসহ হুইপ নিয়োগের ফাইল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেখানে সম্মতি মিললে রাষ্ট্রপতির হুইপদের নিয়োগ দেবেন। পরে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
১৯৭২ সালের ‘দ্যা বাংলাদেশ (হুইপস) অর্ডার্’ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ দেন। আইন অনুযায়ী সংসদে একজন চিফ হুইপ ও ছয়জন হুইপ থাকবেন।
চিফ হুইপ মন্ত্রী মর্যাদার এবং হুইপরা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পান।
চিফ হুইপ ও হুইপের কাজ
চিফ হুইফ হলেন সংসদে সরকারি দলের মুখপাত্র। চিফ হুইপের সঙ্গে কয়েকজন হুইপ থাকেন। তারা সবাই সংসদ সদস্য। চিফ হুইপ ও হুইপের প্রধান কাজ সংসদে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা করা।
হুইপের দায়িত্বের মধ্যে আরও রয়েছে- নিজ দলের সদস্যদের পার্লামেন্ট বা আইনসভায় নিয়মিত হাজির করার ব্যবস্থা করা। সংসদে কোনো বিল উত্থাপিত হলে দলীয় সব সদস্যরা যেন দলের পক্ষে ভোট দেন তা নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
রাষ্ট্রীয় মর্যাদাক্রম অনুযায়ী, চিফ হুইপ পূর্ণ মন্ত্রীর পদমর্যাদা ভোগ করেন। আর হুইপ ভোগ করেন প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা।