নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী দক্ষিণপাড়া গ্রামে সন্ধ্যার পর থেকেই বসে মাদকের রমরমাট হাট। হাটে শাক-সবজি বিক্রির কৌশলেই মাদক কারবারিরা রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। কয়েকগজ পর পর দু’তিনজন মাদক বিক্রেতার অবস্থান।
যুবক, কিশোর থেকে শুরু করে নারী বিক্রেতা পর্যন্ত রাস্তায় নেমে আসে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার পর রাত যতই রাড়তে থাকে নিজেদের ডেরা (আস্তানা) থেকে বেরিয়ে আসে মাদক বিক্রেতারা। সবাই মূলত: ইয়াবার কারবারি। স্থানীয়দের ভাষায় ইয়াবাকে ‘বড়ি’ বলা হয়। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন আকার ইঙ্গিতে বলে বাতের বড়ি লাগবোনি। কেউ বলে দাঁত ব্যথার বড়ি আছে। জ্বর-ঠান্ডা কাশির বড়ি লাগবোনি। মাদক বিক্রেতারা প্রকাশ্যেই দীর্ঘদিন ধরে রামচন্দ্রদী দক্ষিণপাড়ায় মাদক বিক্রি করে যাচ্ছে। স্থানীয় গ্রামবাসী অনেক প্রতিবাদ করেও গ্রাম্য জনপদের অভিনব মাদকের হাট বন্ধ করতে পারেনি।
রামচন্দ্রদী দক্ষিণপাড়া গ্রামবাসীর অভিযোগ, এই গ্রামেই গোপালদী পৌরসভার মেয়র এমএ হালিম সিকদারের বাড়ি। তাঁর বাড়ির একশ গজের মধ্যেই প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত বসে মাদকের হাট। অনেকে কটাক্ষ করে ‘বড়ির হাট’ বলে থাকে। মেয়র চাইলেই এই মাদকের হাট চিরতরে বন্ধ হবে, নয়তো নয়। মাদক বিক্রেতারা অনেকেই সিকদার বংশের আত্মীয় স্বজন বলে প্রভাব দেখায়। মেয়র হালিম সিকদার মাদকের হাটের বিষয়ে কখনোই জোরালো পদক্ষেপ নেয় না। তার ভূমিকা বরাবরই রহস্যজনক ঠেকে সবার কাছে।
এছাড়াও রামচন্দ্রদী উত্তরপাড়ার মৃত মালেকের ছেলে জামাল(৪৪) তার নিজ বাড়িতে চুলাই মদ তৈরি করে পােইকারী ও খুচরা বিক্রি করে। পাশাপাশি ইয়াবা বিক্রি করে থাকে। একই গ্রামের আব্দুল সাত্তার(৫৬) এর স্ত্রী মিনারা বেগম ও মৃত ঈব্রাহিমের স্ত্রী হাসিনা(৫০) সহ অনেকে মাদক ব্যবসা করে মোটা অংকের টাকার ব্যবসা করে আসছে।
গোপালদীর তদন্ত পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ ফজলুল হক জানান, অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করলেও আবারো তারা জামিনে জেল হতে বের হয়ে মাদক ব্যবসা পুনঃরায় শুরু করছে। তাদের কে আটক করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।