করোনা মোকাবেলায় সরকারের উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের অপকর্মের কারণেই এই মহাদুর্যোগের সময় দেশে আরও অনিশ্চয়তার অন্ধকার নেমে এসেছে। এই করোনা মহামারীর মধ্যেও দলমত নির্বিশেষে সমন্বিত উদ্যোগ দূরে থাক বরং সরকার এক অশুভ অভিপ্রায় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে ত্রাণ কর্মকাণ্ড চালানোর সময় রাজশাহীর তানোর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুল মালেককে গ্রেফতার ও কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনার উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব। একই সঙ্গে ছাত্রদল নেতা আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাসহ দণ্ডাদেশ প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সোমবার সকাল থেকে তানোর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে করোনাভাইরাসের মহামারীতে আতঙ্কগ্রস্ত কর্মহীন অসহায় মানুষের মাঝে বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বিকালে পৌর এলাকার ৫০০ সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দেয় এবং সেখান থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছাত্রদল নেতা আবদুল মালেককে গ্রেফতার করে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে। করোনাভাইরাসের দুর্যোগকালীন সময়ে যখন দুর্ভিক্ষের ছায়া বিরাজমান তখন ক্ষুধার্ত ও নিরন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় সেটিকে বাধা দেয়ার ঘটনা বিদ্যমান দুঃশাসনেরই প্রতিফলন।
তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রতিনিয়ত দেশব্যাপী সরকারদলীয় লোকজনদের দ্বারা ত্রাণ সামগ্রী চুরির ঘটনা ঘটছে এবং তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ভ্রুক্ষেপহীন থাকছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও পুলিশি ক্ষমতার যথেচ্ছ প্রয়োগ থেমে নেই। বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজ উদ্যোগে সারা দেশে সুবিধাবঞ্চিত খেটে খাওয়া অসহায় মানুষদের মাঝে যখন মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তখন এই মানবিক উদ্যমকে সহ্য করতে পারছে না সরকার। তাই দলীয় লোকজনদেরকে দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হিংস্র আচরণ করানো হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।
দেশব্যাপী ক্ষমতাসীন দলের লোকজনদের চাল কেলেঙ্কারীর মতো অপকর্ম ঢাকতেই তরুণ ছাত্রদল নেতা আবদুল মালেককে গ্রেফতার করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব।