জেলা সংবাদ

৩জন ওঠা যাবে না রিকশায়, অতিরিক্ত ভাড়া চাইলেই জরিমানা

স্টাফ রির্পোটার: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় চলাচলকারী রিকশা ও অযান্ত্রিক বাহনের জন্য বিশেষ প্রবিধান জারি করেছে সংস্থাটি। এতে এক রিকশায় তিনজন ওঠা যাবে না এবং দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারিত থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

২১শে মার্চ ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল (নিয়ন্ত্রণ) প্রবিধান’-এর গেজেট জারি করা হয়েছে। দক্ষিণ সিটিও এমন প্রবিধান করতে যাচ্ছে বলে জানা যায়।

প্রবিধান অনুযায়ী, অঞ্চলভেদে রিকশাচালকদের পোশাকের রং ভিন্ন হবে। অযান্ত্রিক যানবাহন বা রিকশাচালকের কাছ থেকে মালিক দৈনিক সর্বোচ্চ কত টাকা ভাড়া (জমা) আদায় করতে পারবেন, তা করপোরেশন নির্ধারণ করে দিতে পারবে। কোনো রিকশায় দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির বেশি বহন করা যাবে না।

এছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করা বা নির্ধারিত জোনে নির্দিষ্ট দূরত্বে যেতে অস্বীকৃতি জানালে রিকশাচালককে জরিমানা করা যাবে। রিকশাচালকের বয়স ১৮ বছরের কম বা ৫০ বছরের বেশি হতে পারবে না।

প্রবিধান অনুযায়ী, অনিয়মের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং নিবন্ধন-লাইসেন্স বাতিল ও রিকশা জব্দ করতে পারবে সিটি করপোরেশন।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মো. সেলিম রেজা জাগো নিউজকে বলেন, রিকশা বা অযান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে তেমন কোনো বিধিবিধান ছিল না। প্রবিধানটি করা খুব দরকার ছিল, সেটি হয়েছে। আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে প্রবিধানের গেজেটও করেছি। আমরা এখন এটি ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের দিকে যাবো। প্রবিধানের আলোকে আমরা ব্যবস্থা নেবো। আমরা কিছু রিকশার লাইসেন্সও দেওয়া শুরু করছি।

আরও পড়ুন >   আড়াইহাজরে পারিবারিক কলহে যুবকের আত্মহত্যা

তিনি বলেন, এই প্রবিধানের আওতায় অযান্ত্রিক যানবাহনকে আমরা একটা সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসবো। রিকশাচালকেরও লাইসেন্স লাগবে। আরও কিছু নতুন বিষয় এসেছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। আশা করছি ভালো কিছু হবে।

প্রবিধান অনুযায়ী, করপোরেশনের অঞ্চল বা ওয়ার্ডভিত্তিক ‘অযান্ত্রিক যানবাহন ব্যবস্থাপনা শীর্ষক কমিটি’ দায়িত্ব পালন করবে। কমিটির আহ্বায়ক হবেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা/মেয়রের মনোনীত কর্মকর্তা/ওয়ার্ড কাউন্সিলর। সাত সদস্যের এই কমিটিতে শ্রমিক, রিকশা মালিক ও চালক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও থাকবেন।


প্রবিধানে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনো ব্যক্তি কোনো অযান্ত্রিক যানবাহন চালাতে চাইলে তাকে অবশ্যই লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্স প্রথমত এক বছরের জন্য ইস্যু করা হবে এবং মেয়াদ শেষে নির্ধারিত ফি দিয়ে তা নবায়ন করতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া চালক দিয়ে অযান্ত্রিক যানবাহন বা রিকশা চালাতে দেওয়া যাবে না। যদি কোনো মালিক ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা চালক দিয়ে রিকশা চালান তবে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে বা সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে চালককে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। একই সঙ্গে জব্দ ও বাজেয়াপ্ত করা হবে করপোরেশনের দেওয়া রিকশার নম্বরটি। একবার জব্দ করা হলে রিকশার লাইসেন্স নম্বরটিও বাতিল হয়ে যাবে বলে প্রবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে।

চালক শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত বলে সিটি করপোরেশনের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সনদ বা প্রত্যয়ন লাগবে। আবেদনকারীকে সিটি করপোরেশন ও এর আশপাশের প্রধান প্রধান সড়ক, স্থাপনা, অফিস আদালত, গুরুত্বপূর্ণ স্থান ইত্যাদির বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। আবেদনকারীকে সড়কপথে চলাচল করার সময় যেসব নিয়ম-কানুন, ট্রাফিক সংকেত অন্য চালকরা মেনে চলেন- তা জানতে ও বুঝতে হবে।

আরও পড়ুন >   আড়াইহাজারের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

রিকশাচালকের লাইসেন্স পেতে আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের কম এবং ৫০ বছরের বেশি হতে পারবে না।

আরও দেখুন

সম্পৃক্ত

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button