আজ আলহাজ নজরুল ইসলাম বাবু’র ৫৫তম জন্মদিন। নারায়ণগঞ্জ-২ আড়াইহাজারের আসনের টানা তিনবারের এমপি সংসদ সদস্য তিনি ১৯৬৭ সালে ১০ মার্চ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের বাজবী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা মরহুম সহিদুর রহমান এবং মাতা মরহুমা জাহানারা বেগম।
নজরুল ইসলাম বাবু’র পিতামহ আধ্যাত্মিক সাধক পীরে কামেল মোকাম্মেল মরহুম মাওলানা মফিজউদ্দিন আহম্মেদ জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে, বিপদে আপদে পাশে থেকে সাহায্য সহযোগীতা করে গেছেন। নিজের সুখ শান্তি ভবিষ্যতের কথা না ভেবে সারাজীবন নিঃস্বার্থ মানবসেবা করে গেছেন বলে এলাকার মানুষ তাঁকে স্মরণ করে গভীর ভালবাসায়। অফুরন্ত শ্রদ্বায়। তার পিতা একই পথ অনুসরণ করে সাধারণের জন্য কাজ করে গেছেন। পিতামহ ও পিতার আদর্শ ও কর্মসূচীকে ধারণ করে মাননীয় সাংসদ আলহাজ নজরুল ইসলাম বাবু দেশপ্রেমের শক্তিতে বলীয়ার হয়ে সত্য ন্যায় ও কল্যাণের পথে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে এগিয়ে যাচ্ছেন।
পরিবার : স্ত্রী-সায়মা ইসলাম ইভা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, একমাত্র ছেলে-ইয়াসার ইসলাম ইশান।
তিনি নিজ পিতামহ পীরে কামেল মোকাম্মেল মরহুম মাওলানা মফিজউদ্দিন আহম্মেদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বাজবী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং স্কুল দুপ্তরা সেন্ট্রাল করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এস.এস.সি, ১৯৮৪ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওর্দী কলেজ থেকে এইচ.এস.সি, পরবর্তীতে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্সসহ (১ম শ্রেণী) স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স এবং ২০০১ সালে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এস.এস ডিগ্রী অর্জন করেন। এ ছাড়াও তিনি আইন বিষয়ে ২০০৬ সালে ডিগ্রী অর্জন করেন।
ছাত্র রাজনীতি: তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার ছাত্রজীবনের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে যাত্রা শুরু। তিনি এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করা অবস্থায় গ্রেফতার হন এবং সাড়ে তিন মাস কারাবরণ করেন। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং পরবর্তীতে তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এর সাথে সাক্ষাৎ করে ফেরার পথে ঢাকায় তিনি গ্রেফতার হন এবং ডান্ডাবেড়ী অবস্থায় দীর্ঘ ১১ মাস কারাবরণ করেন। কারাবরণ অবস্থায়ই তিনি কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে ২০০২ সালেই তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। চার বছর কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক থেকে সারা দেশে ছাত্র সংগঠনকে অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মর্মান্তিক ও বর্বর গ্রেনেড হামলার শিকার হন এবং দেশে ও দেশের বাইরে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে জনতার মাঝে ফিরে আসেন।
আড়াইহাজার ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্থানীয় ছাত্র রাজনীতির যাত্রা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি সমবায় আন্দোলনের অগ্রদূত হিসেবে স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৬ সালে সমবায় ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি সমবায় মার্কেটিং সোসাইটি এবং বাংলাদেশ জুট কো-অপারেটিভ সোসাইটি’র চেয়ারম্যান হিসেবে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ কোল্ড ষ্টোরেজ এসোসিয়েশনে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৬ সাল থেকে তাকে পরপর তিনবার পরিচালকের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে গোটা উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও এর অংগসংগঠনকে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী করেছেন।
তিনি ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তার নিজ এলাকা নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার উপজেলা), সংসদীয় আসন-২০৫ থেকে একজন উদীয়মান তরুন হিসেবে পরপর ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চিরচেনা আড়াইহাজারকে বদলে দিয়েছেন। উন্নয়ন কাজের মধ্যে তিনশ’ বিঘা ভূমির উপর নির্মিত দক্ষিণ এশিয়া প্রথম ও বৃহত্তম জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফলিত, পুষ্টি ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারটান) এর প্রধান কার্যালয়, আড়াইহাজার কৃষি প্রশিক্ষণ ইউস্টিটিউট, ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যায় উন্নীত, সরকারি সফর আলী কলেজে অনার্স কোর্স চালু, সকল রেজিষ্টার প্রাথমিক ও কমিউনিটি স্কুল সরকারীকরণ, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাধিক দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মান, একহাজার বিঘার উপর নির্মানাধীন জাপানী অর্থনৈতিক অঞ্চল উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও আলোর পথযাত্রী পাঠাগার ও নির্মাণাধীন আলোর পথযাত্রী দাতব্য চিকিৎসালয় এ প্রতিষ্ঠান দুটিও মাননীয় সাংসদ আলহাজ নজরুল ইসলাম বাবু মহোদয়ের নির্দেশনা ও সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক ও দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালী, দুবাই, যুক্তরাজ্য, কানাডা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ফ্রান্স, ভারত, অষ্টেলিয়া, চীনসহ অর্ধশতাধিক বেশী দেশ ভ্রমন করেন।