স্টাফ রির্পোটার: নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে ৯ বছর বয়সী এক মাদরাসাছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ধর্ষণের পর কাউকে না জানাতে ধর্মীয় গ্রন্থ ‘কোরআন শরীফ ছুঁইয়ে শপথ’ করানো হয়।
এই ঘটনায় শনিবার (২ জুলাই) রাতে ভুক্তভোগী শিশুর মা বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় মামলা করেন।
মামলায় আসামি করা হয়, আড়াইহাজার উপজেলার ছনপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে প্রাইভেট শিক্ষক আল মাহি (২২) ও তার ছাত্র একই এলাকার আ. রশিদের ছেলে মো. আছলাম (১৮)।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, স্থানীয় একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। সে নিয়মিত রফিকুলের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায়। তার সাথে পড়তে যেত আসলামও। শিক্ষক মাহি ও আসালম দু’জনই বিভিন্ন সময় ওই শিশুছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো। গত ২৯ জুলাই রাত ৮টায় প্রাইভেট পড়া শেষে তারা দুজন মিলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে এ বিষয়ে কাউকে না জানাতে ওই ছাত্রীকে পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করানো হয় এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হয়।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করানো হলেও অসুস্থবোধ করায় মেয়েকে জিজ্ঞেস করাতেই সে সব বলে দেয়। পরদিনই মামলা করতে চেয়েছিলাম। তবে স্থানীয় কয়েকজন এটা নিয়ে সালিশে মিমাংসার আশ্বাস দেয়। মিমাংসা না হওয়ায় মামলা করেছি। আমার মেয়ের যে ক্ষতি হয়েছে, আমি তার বিচার চাই।
আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক জানান, ধর্ষণের মামলা মিমাংসার কোন সুযোগ নেই। এই ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিরা পলাতক রয়েছে, দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।