আড়াইহাজার প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পশুর চামড়া বাজারে ধস দেখা গিয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানির গরুর চামড়ার দামে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। উপজেলার মৌসুমি পশুর চামড়া ব্যবসায়ীরা সরকারের নির্ধারিত চামড়ার মূল্য সিন্ডিকেট করে বৃদ্ধি করতে না পারায়, তারা তাদের বিভিন্ন কৌশল অবলম্বণ করে ঢাকা ট্যানারির মালিকদের সাথে আতায়াত করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে গরুর চামড়া ২-৩শত টাকা মূল্যে ক্রয় করেছে। আর ছাগল ও ভেড়ার চামড়ার তো ক্রেতা ও দামই নেই। সাধারণ মানুষের মধ্যে চামড়া সঠিক মূল্য না পাওয়া তাদের মাঝে খোপ বিরাজমান দেখা গিয়েছে।
রামচন্দ্রদীর একজন চামড়ার ব্যবসায়ী জানান, এখানে আমার কোনো লাভ নেই। এতক্ষণ মালিক নিজ হাতে কিনছেন। দাম বেশি হলেও তার, কম হলেও তার। এখন যত বড় এবং দামি গরুর চামড়াই আনেন না কেন লাভ নেই। মালিক যদি প্রশ্ন করেন এতো দাম দিয়ে কিনলে কেন? তখন কী জবাব দেবো?
এসব বলে দাম কমিয়ে চামড়া কিনছিলেন ওই ব্যক্তি।
আরো একজন ব্যবসায়ী বলেন, ঈদের দিন সকাল থেকেই পশুর চামড়া কিনছি। যার কাছ থেকে যত টাকা দিয়ে কেনতে পারি। কোনটা ৪০০, ৫০০ থেকে নিয়ে সাড়ে ৭০০ টাকায় কিনেছি। আবার নিচে ৩০০-২০০ এমনকি ১০০ টাকাও চামড়া কিনেছি।
আড়াইহাজারের একজন ট্যানারির মালিক বলেন, গতকাল গরু জবাই করার পর থেকেই সারাদিন চামড়া কিনে আসছি। ৫০০-৭০০ টাকা দিয়ে কিনেছি চামড়া। কিন্তু এসব চামড়ার মধ্যে ছোট-বড় যাই হোক, লবণ দেওয়ার খরচ কিন্তু সবার এক। এখন লবণের দাম বেশি, মজুরি বেশি। সব কিছু মিলিয়ে পোষাতে হবে। লবণ লাগিয়ে শ্রমিকের খরচ মিটিয়ে চামড়ার স্কয়ার ফিটের দাম ধরা হবে ৪৭-৪৮ টাকা। সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ধরতে পারে যদি সেই চামড়া ২০ ফিটেরে বেশি হয়। আর আজ আমরা ২০, ২৫, ৩০ ও ৩৫ টাকা ফিট কিনেছি। এরপরে আরও খরচ আছে, তারপর লাভের হিসাব।