স্টাফ রির্পোটার: ছবির ১১ জনই মুক্তিযোদ্ধা, তাদের ৬ জনই চলে গেছে না ফেরার দেশে। এখনও কিছু মুক্তিযোদ্ধা শয্যাশায়ী। বিতদের মধ্যে যারা সুস্থ্য রয়েছেন, বাকিটা জীবন এক সাথেই থাকতে চাইছেন। তাদেরই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন ক্ষোভ আর আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘এক সাথে থাকতে চেয়ে এখন শেষ জীবনে নামের সাথে লেগেছে দখলদার তকমা’! শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেনই নয়, এমন আক্ষেপ আর ক্ষোভ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার তল্লা এলাকায় বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার।
ফতুল্লা ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১১নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী নূর বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের রেলওয়ের জমি, দখল করে ‘তল্লা সাধারণ পাঠাগার’ আগেই নির্মাণ করে রেখেছে। এরপাশেই ছিল আমাদের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জন্য নির্ধারিত স্থান। কিন্তু সড়ক নির্মাণ হওয়ায় জায়গাটি চলে যায়। আমরা এখন রেলওয়ের জমিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্মাণ করতে চাইলে আমাদের বিরুদ্ধে দখল করার অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, সাংবাদিক ভাইদের ভূল তথ্য দিয়ে পাঠাগারের সভাপতি মঈন আহসান মিথ্যা সংবাদ প্রচার করাচ্ছেন। এতে আমাদের সম্মানহানী হচ্ছে। ছোট পাঠাগার, কিন্তু অবৈধ ভাবে দখল করে আছে বিশাল জমি। থাকুক, আমাদের কোন সমস্যা নেই। আমরা শুধু চাই, একটু বসার জায়গা।’
পাঠাগারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বি জানান, ‘পাঠাগারে গত ৪-৫ বছর যাবত তেমন কোন কার্যক্রম চলে না। পাঠাগারের জমি গুলো এক সময় মাঠ চাষের জন্য লীজ নেওয়া ছিল। এখন তাদের লীজ বাতিল করে দিয়েছে রেলওয়ে। এখন যারাই দখলে রয়েছে, সকলেই অবৈধ।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুই রুমের পাঠাগার কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানা প্রায় ১০ থেকে ১২ শতাংশ জমি জুড়ে প্রাচীর নির্মাণ রয়েছে। বিকালে চেয়ার টেবিল পেতে রাস্তায় বসে আছেন বীর মুক্তযোদ্ধারা।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক পূর্বে ‘তল্লায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে পাঠাগারের মাঠ দখল’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এতে বিভ্রান্তিতে মুক্তিযোদ্ধারা।