স্টাফ রির্পোটার: গত বছরের ৫ ডিসেম্বর বন্ধুদের সাথে লঞ্চে করে মতলবের বেলতলী লেংটার মাজারে যাচ্ছিলেন হযরত আলী (২০)। এমন সময় হটাৎ ধলেশ্বরী ও মেঘনার মাঝামাঝি স্থানে টয়লেটে গিয়ে পা পিছলে নদীতে পড়ে তলিয়ে যায় ওই তরুন। এমনটাই জানায় তার সাথে থাকা বন্ধুরা। পরে, গজারিয়া কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ নদীতে উদ্ধার তৎপরতা চালালেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ঘটনার তিন দিন পন (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সোনারগাঁ থানাধীন শম্ভুপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ চর হোগলা মেঘনা নদীর কিনারে কচুরিপানার ভিতর থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হযরত আলীর লাশ সনাক্ত করে তার বাবা। পরবর্তীতে কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি লাশের সুরতহাল রির্পোট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
এদিকে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসা মাত্র বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। রিপোর্ট অনুযায়ী, হযরত আলীর মৃত্যু পা পিছলে নদীতে পড়ে হযনি। তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মোঃ মরতুজ মিয়া (৬২) বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোনারগাঁ থানার মামলা নং-৩৬ তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। মামলায় এজহারনামীয়রা হলো- মোঃ জুবায়েত ইসলাম (১৯), মোঃ রিফাত (১৮), মোঃ কালা (২২), রাজিব (১৯), জামাল উদ্দিন (১৯)।
এরই ধারবাহীকতায়, আসামীদের ধরতে মাঠে নামে র্যাব-১১ এর একটি চৌকশ দল। মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর এবং অক্টো অফিস এলাকা থেকে জুবায়েত ইসলাম, রিফাত ও সজলকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনাগত কার্যক্রমের জন্য ইনচার্জ, কলাগাছিয়া নৌ- পুলিশ ফাঁড়ি, বন্দর, নারায়ণগঞ্জ এর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার (এএসপি) মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।