সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ায় জনজীবনে সরাসরি প্রভাব না পড়লেও পরোক্ষভাবে এর প্রভাব পড়বে। এদিকে সরকার বলছে, এই দাম বৃদ্ধির ফলে তাদের ভর্তুকি কমবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজি কিনতে গিয়ে পেট্রোবাংলা আর্থিক সংকটে রয়েছে। এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার আইএমএফ-এর কাছ থেকে ঋণ নিচ্ছে। আইএমএফ ঋণ ছাড়ের আগেই ভর্তুকি কমানোর শর্ত দিয়েছিল। সরকার ভর্তুকি কমাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভোক্তা পর্যায়ে সবশেষ গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল গত বছরের ৪ জুন। এর আগে ২০১৮ সালের শেষভাগে এলএনজি আমদানির সময় থেকে সরকারের খরচ বাড়তে শুরু করে এবং তখন এই ঘাটতি পূরণ করতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
বিইআরসি গণশুনানি করে গ্যাসের দাম বাড়ালেও এবারই প্রথম সরকারের নির্বাহী আদেশে দাম বাড়ানো হলো। এতদিন গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করতো বিইআরসি একাই। গত ১০ জানুয়ারি বিশেষ প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ এবং সমন্বয়ে সরাসরি সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ রেখে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন ২০২৩’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর পরপরই গত ১৩ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুতের দাম বাড়ায় বিদ্যুৎ বিভাগ। আর আজ ১৮ জানুয়ারি বাড়লো গ্যাসের দাম।
এদিকে আবাসিকে এবার গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি, সেটি আগের মতোই রয়েছে। রান্নার গ্যাসের জন্য দুই চুলার (ডাবল বার্নার) মাসিক বিল ১০৮০ টাকা, এক চুলার মাসিক বিল ৯৯০ টাকাই রয়েছে। আর প্রিপেইড মিটারে প্রতি ইউনিট ১৮ টাকা।