স্টাফ রির্পোটারঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমান আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, সেদিন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ দেখিয়ে দেবে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের ঘাটি ছিল আছে থাকবে। এসময় তিনি বলেন, ওরা বলে পুলিশ ছাড়া মাঠে আসতে।
আমি পুলিশের কাছে অনুরোধ করছি সব পুলিশ প্রশাসন ওদের পক্ষে থাকেন। ওদের জন্য আমরাই যথেষ্ট। চব্বিশ ঘণ্টায় বিএনপিকে নারায়ণগঞ্জ ছাড়া করবো। আপনাদের হয়তো মনে নেই আপনাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মতিন চৌধুরী নারায়ণগঞ্জে এসে আমাদের অনুমতি ছাড়া নামতে পারেনি।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের চাষাঢ়া রাইফেল ক্লাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এক কর্মী সভায় বক্তব্যকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি আরও বলে, আগামী নভেম্বর মাসের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ মাসে আর ২০ দিন, অক্টোবরে আর ৩০ দিন। এরপর নভেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা। তখন সবাই সমান। আপাতত আসুন আমরা সবাই এক থাকি।
আপনারা ১৬ তারিখ দেখিয়ে দেবেন, আমরা এমন আওয়াজ তুলব যা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। সেদিন আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খানকে দাওয়াত করব। আশা করি কোন ব্যস্ততা না থাকলে উনি উপস্থিত থাকবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা,সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়াসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
কর্মী সভায় শামীম ওসমান বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ওরা বলে পুলিশ ছাড়া মাঠে আসতে। আমি পুলিশের কাছে অনুরোধ করছি সব পুলিশ প্রশাসন ওদের (বিএনপি) পক্ষে থাকেন। চব্বিশ ঘণ্টায় নারায়ণগঞ্জ ছাড়া করবো। আপনাদের হয়তো মনে নেই আপনাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মতিন চৌধুরী নারায়ণগঞ্জে এসে আমাদের অনুমতি ছাড়া নামতে পারেনি।
তিনি বলেন, আমি এক বছর ধরে বলছি। রাজনীতিতে একটি হিসেব নিকেশের ব্যাপার আছে। আমরা খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করি। চারিদিকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা এই ষড়যন্ত্র করছে তারা একাত্তরে বিরোধিতা করেছিল, আমাদের মা বোনদের পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়েছিল।
আমাদের দায়িত্ব এ দেশকে রক্ষা করা। সেসময় স্লোগান ছিল বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো বাংলাদেশ স্বাধীন করো। আজকের স্লোগান বীর বাঙালি ঐক্য গড়ো বাংলাদেশ রক্ষা করো। যারা লাফালাফি করে বলছে সরকার ফেলে দেবে। অনেকদিন ধরেই এগুলো শুনছি। আমাদের মা শেখ হাসিনা। আপনার মাকে নিয়ে অশ্লীল স্লোগান দিলে। আপনি কী ছেড়ে দিবেন।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে এখন রাস্তায় জাতির পিতার কন্যাকে অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়ে মিছিল করে। মিছিল করুক আপত্তি নেই। তবে তারা যে ভাষায় গালি দেয় তা মেনে নেয়া যায় না। মামুনুল হক ইস্যুতে কতিপয় লোক শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে পায়ের নিচে পিষে ফেলতে চায়।
আমার কর্মীরা ছাত্রলীগ যুবলীগ জবাব দিতে চাইল। আমি বললাম থামো দেখি বাকি নেতা নেত্রীরা কী করে। অনেক বড় বড় নেতা নেত্রী তো আছে। তাদের বললাম আমার সাথে থাকার দরকার নেই জাতির পিতার কন্যার জন্যে হলেও মাঠে নামুন।
শামীম ওসমান বলেন, আমরা একটা ছোট্ট দেশ। আমরা হাটিহাটি পা পা করে উঠে দাঁড়াচ্ছি। ভৌগলিক কারনে আমরা গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হয়ে দাঁড়িয়েছি। এখানে খেলা শুরু হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন বিশ্বে এত খারাপ অবস্থার পরেও ২০৪০ সালের মধ্যে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেই না। আমরা নারায়ণগঞ্জে নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা করি। এখানে যারা আছি তারা বলতে পারবেন এ নারায়ণগঞ্জ ভূমিকা পালন করে। অন্য কারও সার্টিফিকেট দরকার নেই। বঙ্গবন্ধু নিজে তার আত্মজীবনীতে লিখে গেছেন। প্রতিটা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ।