বিনোদন

নোবেলকে ডিভোর্স দেয়ার কারণ জানালেন আর স্ত্রী

দেশের আলোচিত সঙ্গীত শিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলকে ডিভোর্স দিয়েছেন তার স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল। ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর নোবেলের সঙ্গে মেহরুবা সালসাবিলার বিয়ে হয়। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) নিজের ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে ডিভোর্স দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন মেহরুবা সালসাবিল। পোস্টে তিনি লেখেন, “আমি হয়তোবা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে, “নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম লল” এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করি। ধন্যবাদ।”

মেহরুবা সালসাবিল লেখেন, “আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই। নোবেল কখনোই এতো অসুস্থ ছিলো না। এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে।”

তিনি লেখেন বলেন,”সরকারি প্রশাসনিক উর্ধতন কর্মকর্ত, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যাবসায়ী; যাদের আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনো দেখেননি, কিন্তু নোবেলের আশে পাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন। (তাদের মধ্যে কিছু শো অরগানাইজারও) বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ব্যাবসায় তারা সচল এবং কিছু এয়ার হোস্টেসদের (একজন এয়ারহোস্টেস যে অন্য এয়ারহোস্টেসদের পরিচালনা করে এবং ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধার্থে পরিচিত মুখ/ভিক্টিম খুঁজে বের করে) মাধ্যমে এবং অন্যান্য পন্থায় তারা দেশে মাদক আমদানি করে এবং গোপনভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করে যার একজন ভিক্টিম নোবেল নিজেই, আসলে শুধু ভিক্টিম বললে ভুল হবে এখন জড়িত।”

আরও পড়ুন >   না.গঞ্জে বিশ্বকাপের উত্তাপে পতাকা বিক্রি বেড়েছে

তিনি আরও লেখেন, “মিডিয়ার বিষয় তাই শুধু সামনে এসেছে কিন্তু এসব/এক ক্ষমতাধারী সিন্ডিকেটের ব্যাবসার মুনাফাই আসে বিভিন্ন পরিবারের সন্তানদের ও যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করিয়ে।”

আরও দেখুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পড়ুন
Close
Back to top button