সাপ্তাহিক আড়াইহাজার: নারায়ণগঞ্জে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় নেতা ও শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবীতে আজ বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ইসকন ও সনাতন জাগরণ মঞ্চের নেতারা।
এদিকে ইসকানের কর্মসূচিকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জে সতর্ক অবস্থানে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতারা। বিএনপি ছাত্রদল, যুবদলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলও এদিন মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারের খবরে রাত নয়টার দিকে মিছিল নিয়ে চাষাঢ়া এলাকায় জড়ো হন ইসকনের নেতাকর্মীরা। এসময় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা।
এদিকে সমাবেশ থেকে ইসকন নেতা মানিক চন্দ্র সরকার ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লিটন পালের নেতৃত্বে সমাবেশ থেকে মঙ্গলবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবীতে সমাবেশের ডাক দেন তারা।
এদিকে রাতে ইসকনের সড়ক অবরোধের খবরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে চাষাঢ়ার আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় ইসকনের সমাবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আপনাদের নেতার গ্রেপ্তারে আমরা ব্যাথিত, কিন্তু আইনের প্রতি সবাই আমরা শ্রদ্ধাশীল। আপনারা আইনকে হাতে তুলে নিবেন না। ফ্যাসিস্টরা অপপ্রচার করেছে যে হিন্দুদের অত্যাচার করা হবে। দেশে দাঙ্গা লাগানের চেষ্টা হয়েছিল। আমরা বিএনপিসহ জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য দলগুলো সেসময় আপনাদের পাশে ছিলাম। আমরা এখনও আপনাদের পাশে আছি।
বিএনপি নেতারা জানান পাঁচ আগষ্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার মিথ্যা তথ্য দেশে ও ভারতে প্রচার করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছিল আওয়ামী লীগ ও স্বৈরাচারের দোসররা। পরবর্তীতে দূর্গা পূজার সময়ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জড়িয়ে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করা হয়েছে। সেসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশে থেকে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছিল, নির্বিঘ্নে পালিত হয় শারদীয় দূর্গা পূজা। এবারও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কর্মসূচিকে ঘিরে পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই বিশৃঙ্খলা এড়াতে রাজপথে সতর্ক অবস্থায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।