আশেপাশের খবরঅপরাধরাজনীতি

নারায়ণগঞ্জে গণপরিবহনে অরাজকতার শেষ কবে

গত ২২ অক্টোবর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত

রাজা যায় রাজা আসে, কিন্তু দেশে অনেক কিছুতেই অরাজকতার চেহারা আর বদলায় না। অনিয়মের জায়গাগুলো কখনো শূন্যও থাকে না। কোনো না কোনোভাবে তা পূর্ণ হয়ে ওঠে। হাট, ঘাট, বাজার, ফুটপাত, পরিবহনে চাঁদা, নদী দখল, সরকারি জায়গা-সম্পত্তি দখল—এসবে হাতবদল হয়। কখনোই যেন এসব দখল বা চাঁদামুক্ত রাখা যায় না। একদল বিদায় নিলে আরেক দল সে জায়গা পূরণ করে ফেলে। এসব চাঁদাবাজ বা দখলদার সব সময় সরকারদলীয়। প্রশাসন তাদের সাহায্য করে। কোথাও কোথাও প্রশাসন আর এ সব দখলদার-চাঁদাবাজরা মিলেমিশেই এ কাজ চালিয়ে যায়। পরিবহনে এ অরাজকতার চিত্র ভয়াবহ।

যুগ যুগ ধরে সারা দেশে গণপরিবহন নিয়ে এক অরাজক পরিস্থিতি বহাল রয়েছে। সরকার তাদের দলীয় লোকজনকে অনৈতিক সুবিধা দিতে পরিবহনে সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। যে সিন্ডিকেট বছরের পর বছর সাধারণ যাত্রীদের জিম্মি করে রাখে। শেখ হাসিনা সরকারের বিগত শাসনামলে এই অরাজকতা ভয়াবহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত ২২ অক্টোবর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সরকারের সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান একাই গত ১৫ বছরে পরিবহন খাত থেকে চাঁদাবাজি করেছেন ২৪ হাজার কোটি টাকা। সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআইবি) তাদের এক গবেষণায় বলেছে, বিগত ১৪ বছরে শুধু সড়ক ও মহাসড়ক প্রকল্পের নির্মাণকাজে ২৯ হাজার থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তারা জানায়, সড়ক ও পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির ব্যাপকতা ও গভীরতা অনেক বেশি। রাজনীতির কাছে এই খাত জিম্মি হয়ে আছে।

আরও দেখুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button