স্টাফ রির্পোটার: নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় চলন্ত বাসে ডাকাতি চেষ্টার সময় আটক এক ডাকাতকে গণপিটুনি দিয়েছেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোরে রঘুনাথপুর এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
আটক ডাকাত সদস্যের নাম নেছার উদ্দিন (৩২)। তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে।
ওসি রিজাউল হক জানান, তিনজন মিলে বাসে ডাকাতির চেষ্টা করলে যাত্রীদের চিৎকারে দুইজন বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায়। পরে আটক ডাকাত সদস্যকে গণপিটুনি দিয়ে তাকে পিটুনি দিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে বাসের যাত্রীরা। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় বাসটির সুপারভাইজার হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-জামালপুর চলাচল করা বুড়িগঙ্গা স্পেশাল পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব: ১১-৩৫৮১) যাত্রীবাহী বাসটি গত বুধবার রাত নয়টার দিকে জামালপুর ছেড়ে আসে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কে প্রবেশ করার পর ফতুল্লার রঘুনাথপুর এলাকা থেকে তিন ডাকাত সদস্য বাসে ওঠেন।
পরে তাদের সাথে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করার চেষ্টা করেন। একজন বাসচালকের গলায় ছুরি ধরে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেন। এই সময় যাত্রীদের চিৎকারে হকচকিয়ে গিয়ে বাস থেকে দুই ডাকাত সদস্য নেমে যায়। পরে নেছার উদ্দিন নামে অপর ডাকাত সদস্যকে আটক করে যাত্রীরা। ক্ষুব্দ যাত্রীরা তাকে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশে খবর দিলে আহত ডাকাত সদস্যকে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আটক নেছার উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, তাদের দলে পাঁচজন সদস্য রয়েছে। তিনি ছাড়া সেন্টু, আলমগীর, সৈকত ও সমীর নামে আরও চার সদস্য রয়েছে। ঘটনার সময় সমীর ও আলমগীর বাসে উঠেছিল বলেও জানান নেছার উদ্দিন।
পুলিশ পালিয়ে যাওয়া ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে বলে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রিজাউল হক জানান।