দীর্ঘ অপেক্ষা, ধৈর্য্য, আবেগ ও ক্ষুধার্ত থাকায় অপরাজিত ৩৩৪ রানের ইনিংসটি তার জন্য সব সময়ই স্পেশাল হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। রকিবুল হাসানের পর দেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন তামিম।
চলমান বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) ৩৩৪ রানের ইনিংস খেলে দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। ৫৮৫ মিনিট ক্রিজে থেকে ৪২৬ বলের ইনিংসে ছিল ৪২টি চার ও ৩টি ছক্কা।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে তামিম বলেন, ‘২০০৭ সালে রকিবুল যখন ট্রিপল সেঞ্চুরি করল, আমরা অনেকবারই বলেছি- কত ধৈর্য নিয়ে ৩০০ করে সে। আমাদের জাতীয় দলেও কথা বলার টপিক ছিল যে, কিভাবে এতো ধৈর্য দেখাল সে। এতোক্ষণ কীভাবে সে ক্রিজে থাকল। যেকোন উইকেট, যেকোন বোলিং অ্যাটাকের বিপক্ষে ৩০০ রান করা মোটেও সহজ নয়। এটি অবশ্যই স্পেশাল। এটি সর্বদা আমার হৃদয়ের একটি বিশেষ জায়গায় থাকবে।’
তামিম বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি কখনো চিন্তা করিনি যে, আমি ট্রিপল সেঞ্চুরি করব। স্বাভাবিকভাবে আমাদের উইকেট অনেক ধীর গতির ও স্পিনিং। এই উইকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি করা মোটেও সহজ কাজ নয়। সত্যি করে বলতে, আমি যখন ২৬০ বা ২৭০ রানে ছিলাম তখনও ট্রিপল সেঞ্চুরি নিয়ে ভাবিনি। যখন আমি ২৮০ রান অতিক্রম করলাম, তখনই বিষয়টি মাথায় আসে। আমি কোনো ঝুঁকি নিইনি। ছক্কা মারার চেষ্টা করিনি, আমরা লক্ষ্য ছিল বাউন্ডারি। যখন উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য উপযোগী নয় তখন আমি চেষ্টা করেছি সিঙ্গেল ও ডাবল নিতে। এটিই মূল রহস্য।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন রাওয়ালপিন্ডি টেস্টেও ফর্ম ধরে রাখায় আত্মবিশ্বাসী দেশসেরা ওপেনার, ‘এটি দারুন অনুভূতি, কারণ প্রত্যক ব্যাটসম্যানেরই ট্রিপল সেঞ্চুরি করার স্বপ্ন থাকে। তবে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, আমি কিভাবে ব্যাটিং করছি। আমি কত রান করেছি, তাও বিবেচ্য নয়। আনন্দের বিষয়টি হল, আমি কিভাবে ব্যাটিং করেছি। আমি এই ফর্মটি ধরে রাখতে পারলে আমি খুশি হব। পুরো ইনিংস জুড়েই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম। উইকেট তেমন খারাপ আচরণ করেনি। আমি শুধুমাত্র আমার শট খেলেছি।’