আড়াইহাজার প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাট দিয়ে কুমিল্লা, বি-বাড়িয়ায় লকডাউন অবমাননা করে যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ। প্রতিদিনই এই যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে সিএনজি অটোরিক্সা পরিবহন গুলো, সেক্ষেত্রে নদী পারাপারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ফেরি। আইনি ভাবে এম্বুলেন্স, খাদ্য পরিবহন, জরুরি সেবার নির্দেশনা থাকায় এই সুযোগে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মবাড়ীয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাধারণ মানুষ রাজধানী ঢাকা সহ নারায়ণগঞ্জ নরসিংদী বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে থাকে।
বিশনন্দী ফেরিঘাট থেকে লক ডাউনে ভাড়া চালিত গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সিএনজি অটোরিক্সার মালিক সমিতি নির্দেশনায় পুলিশ প্রশাসনের সামনেই প্রায় দুই থেকে তিনশত গাড়ী স্বাস্থ্য বিধি না মেনে যাত্রী নিয়ে চলাচর করছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে মোবাইল কোর্ট ভ্রাম্যমান আদালত এর গাড়ীর টের পেলেই সিএনজি অটো রিক্সা চালকরা গাড়ী রেখে পালিয়ে যায়। আবার ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট চলে আসলে আবারো পুলিশের সামনেই চালকরা যাত্রী নেওয়ার জন্য ব্যস্ত থাকে।
এমনি ভাবে চলাচল করে থাকলে সরকার ঘোষিত লকডাউন কোনো কাজেই লাগবে না, বরং নিয়মিত করোনা সংক্রমণ বাড়তেই থাকবে।
বিশনন্দী ফেরিঘাটে সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যানে এইসকল পরিবহন থেকে প্রতিদিনই নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছে দেলোয়ার। উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়ণের মানিকপুর ফেরীঘাটে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যানবাহন ঢাকা, নন্দীবাড়ী, চিটাগংরোড, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা সহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করে থাকে। সিএনজি অটোরিক্সা গুলোতে যাত্রী উঠলেই চাঁদা দিতে হয় চাঁদাবাজ দেলোয়ার কে।
সরজমিনে ঘুরে আলাপ করে জানা যায়, কুমিল্লা ও বি-বাড়িয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ কম সময়ে ঢাকায় যাতায়াতের জন্য বিশনন্দী ফেরিঘাটে চলাচল করে আসছে। বিশনন্দী ফেরিঘাটে যাতায়াতের জন্য বড় পরিবহন সল্প ও কম থাকায় সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বীগুন ভাড়া আদায় করে নেয়। এই সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল উপজেলার বিশনন্দী এলাকার দেলোয়ার(৪০) কে দিয়ে প্রতিদিন নিয়মিত বিভিন্ন ধরণের পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি করিয়ে আসছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম এর সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি এই ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হয়নি। চাঁদাবাজ দেলোয়ারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ফেরিঘাটের ইজারাদারদের নিদের্শনা মোতাবেকই আমি গাড়ি প্রতি টাকা আদায় করি।
বিশনন্দী ফেরিঘাট থেকে সিএনজি অটোরিক্সা গুলো সরকারী আইনকে তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন জেলার নাম্বারে গাড়ী গুলো চলাচল করে আসছে, যে সব জেলার নাম্বার গাড়িতে লেখা রয়েছে এই সব জেলা গুলো হলো বি-বাড়িয়া, হবিগঞ্জ, গাজিপুর, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ জেলা সহ কয়েকটি জেলার গাড়ী গুলো নারায়ণগঞ্জ উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে চলাচল করে থাকে।
এই বিষয়ে একধিক সিএনজি অটো রিক্সা চালকদের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন, আমরা প্রতিটি থানার ও পৌরসভার সাপ্তাহিক এবং মাসিক টোকেন নিয়ে আমরা এই রাস্তায় গাড়ী চালাই।
সরকারী আইর মোতাবেক স্ব-স্ব জেলার নাম্বারের সিএনজি অটোরিক্সা গুলো আইন অমান্য করে বিশনন্দী ফেরিঘাট থেকে চলাচল করে আসছে। বেশীর ভাগই অটো রিক্সা সিএনজি গুলো কাগজ পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সরকার হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস¦। এলাকার অভিজ্ঞ মহল মনে করেন, সরকার স্ব-স্ব উপজেলার ভ্রাম্যমান আদালত দায়িত্বে তাদের কাজ থেকে রাজস্ব আদায় করা সম্বভ হবে।