আড়াইহাজার প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা বিশনন্দী ফেরিঘাটে সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যানে প্রতিদিনই নিয়মিত পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে দেলোয়ার।
উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়ণের মানিকপুর ফেরীঘাটে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যানবাহন গুলো ঢাকা, নন্দীবাড়ী, চিটাগংরোড, যাত্রাবাড়ী সহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় পাঁচ শতাধিক সিএনজি অটোরিক্সা গাড়ী গুলো চলাচল করে থাকে। সিএনজি অটোরিক্সা গুলোতে যাত্রী উঠলেই চাঁদা দিতে হয় চাঁদাবাজ দেলোয়ার কে।
সরজমিনে ঘুরে আলাপ করে জানা যায়, কুমিল্লা ও বি-বাড়িয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ কম সময়ে ঢাকায় যাতায়াতের জন্য বিশনন্দী ফেরিঘাটে চলাচল করে আসছে। বিশনন্দী ফেরিঘাটে যাতায়াতের জন্য বড় পরিবহন সল্প ও কম থাকায় সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বীগুন ভাড়া আদায় করে নেয়। এই সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল উপজেলার বিশনন্দী এলাকার দেলোয়ার(৪০) কে দিয়ে প্রতিদিন নিয়মিত বিভিন্ন ধরণের পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি করিয়ে আসছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম এর সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি এই ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হয়নি। চাঁদাবাজ দেলোয়ারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ফেরিঘাটের ইজারাদারদেও নিদের্শনা মোতাবেকই আমি গাড়ি প্রতি টাকা আদায় করি।
বিশনন্দী ফেরিঘাট থেকে সিএনজি অটো রিক্সা গুলো সরকারী আইনকে তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন জেলার নাম্বারে গাড়ী গুলো চলাচল করে আসছে, যে সব জেলার নাম্বার গাড়িতে লেখা রয়েছে এই সব জেলা গুলো হলো বি-বাড়িয়া, হবিগঞ্জ, গাজিপুর, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ জেলা সহ কয়েকটি জেলার গাড়ী গুলো নারায়ণগঞ্জ উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে চলাচল করে থাকে।
এই বিষয়ে একধিক সিএনজি অটো রিক্সা চালকদের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন, আমরা প্রতিটি থানার ও পৌরসভার সাপ্তাহিক এবং মাসিক টোকেন নিয়ে আমরা এই রাস্তায় গাড়ী চালাই।
সরকারী আইর মোতাবেক স্ব-স্ব জেলার নাম্বারের সিএনজি অটোরিক্সা গুলো আইন অমান্য করে বিশনন্দী ফেরিঘাট থেকে চলাচল করে আসছে। বেশীর ভাগই অটো রিক্সা সিএনজি গুলো কাগজ পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সরকার হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস¦। এলাকার অভিজ্ঞ মহল মনে করেন, সরকার স্ব-স্ব উপজেলার ভ্রাম্যমান আদালত দায়িত্বে তাদের কাজ থেকে রাজস্ব আদায় করা সম্বভ হবে।