নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার উপজেলার হাট বাজার গুলোতে হোটেল রেস্টুরেন্ট এবং চায়ের দোকান গুলোতে বোতল জাতীয় সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করছে দোকানীরা। তাদের অসাবধানতায় আবারো যেকোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।
আড়াইহাজার বাজারে ইসলামী ব্যাংক গলিতে হরমুজ আলী নামের এক চায়ের দোকানী চায়ের দোকানে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করতো, অসাবধানতার কারণে গেল ২৪মে বিস্ফরণের দূর্ঘটনা ঘটে। এতে চার দগ্ধ হয় এবং এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়। বাকি দুই এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ণ ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে পান্জা লরছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আড়াইাহাজার উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে হোটেল রেস্টুরেন্ট সহ চায়ের দোকান গুলোতে জ্বালানি কাঠ এর দাম দ্বিগুন থাকায় এখন প্রায় প্রতিটি দোকানেই সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করতে দেখা যায়, আবার অনেকেই আবাসিক সংযোগ থেকে তিতাস গ্যাসের সংযোগ নিয়ে তারা দেদারছে ব্যবসা করেছে আসছে। তাদের নিয়ন্ত্রন ও নিরাপত্তা দেখার মতো কেউ নেই। দেশের বিভিন্ন গ্যাস কম্পানীল ডিলার গুলোর দোকানে দেখা গিয়েছে বেশীর ভাগ গ্যাসের বোতল গুলাই পুরোনো ও অস্থায়ী লক্কর-ঝক্কর। এই সকল বোতল গুলোই কম্পানীর নাম বিহীন, এইসব বোতল দিয়েই দোকানীরা গ্যাস বিক্রি করে আসছে।
এলাকার বিশিষ্ট জনদের সাথে আলাপ করলে জানান, যারা সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করছে, তাদের অবস্থান নিরাপত্তা সম্পর্কে উপজেলার প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স তদন্ত করে তাদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এইরকম ঘটনা আবারো ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ব্যাপারে আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা সাথে আলাপ করলে জানায়, আমরা কিছু দিনের মধ্যেই হাট বাজারের হোটেল রেস্টুরেট সহ অন্যান্য দোকান গুলোতে ঝুকি পূর্ণ সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করলে তাদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।