স্টাফ রির্পোটার: নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী এলাকায় মারধর নির্যাতন করে তিন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় গোপালদী পৌর মেয়র আব্দুল হালিম সিকদার সহ আরও তিনজনের নামে মামলা হয়েছে।
৭ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার নির্যাতিতা শিশু তাউছিফের বাবা রামচন্দ্রী এলাকার জজ মিয়ার ছেলে রমজান বাদী হয়ে শিশু আইনে মামলাটি করেন। মামলা নং-১৭ (২) ২৩ইং। পুলিশ এরই মধ্যে ফারুক ও দ্বীপককে গ্রেপ্তার করেছে। মামলায় আসামিরা হলো, রামচন্দ্রদী এলাকার মৃত রওশন আলী সিকদারের ছেলে গোপালদী পৌরসভার মেয়র আব্দুল হালিম সিকদার, একই এলাকার মৃত জীবন শীলের ছেলে উৎপল শীল ও দ্বীপক শীল, খাসেরকান্দী এলাকার মৃত বেনু মেম্বারের ছেলে ফারুক।
এজাহারে উলেখিত বিবরণ থেকে জানা গেছে, ৬ ফেব্রুয়ারী সকাল সোয়া ৮টার দিকে মেয়র আব্দুল হালিম সিকদারের বাড়ির পেছনে মেশিনের যত্রাংশ রাখা ছিল। এই পথে যাওয়ার সময় তিন শিশু কিছু যত্রাংশ খুলে হাতে নেয়। পরে তাদের আটক করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মেয়র নির্দেশ দেয় তাদেরকে রামচন্দ্রী বাজারে নিয়ে যেতে। পরে তিন শিশুকে রশি দিয়ে বেঁধে স্থানীয় রামচন্দ্রী বাজারে অবস্থিত উৎপলের সেলুনে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তাদের বেধরক মারপিট করে বেঁধে রাখা হয়। এসময় মেয়র নিজে ওই সেলুনে বসেই সেইভ করছিলেন। এক পর্যায়ে অতি উৎসাহিত হয়ে তিনশিশুর চুল এলোমেলোভাবে কেটে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে নির্যাতিতা শিশুদের পরিবারের লোকজন রামচন্দ্রী বাজারে গিয়ে তাদের বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
এদিকে এ ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অনেকেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যকে এনিয়ে সঠিত তদন্ত করে বিচারের দাবী জানান।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এরই মধ্যে মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।