স্টাফ রির্পোটারঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকায় ঘরে ডুকে মাকে আটকে রেখে মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) থানায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন- আড়াইহাজারের শখেরগাঁও কাজীপাড়া এলাকার শহিদুল্লার ছেলে আশিক (২০), ফজার ছেলে ছরহাব (২৮), সাতগ্রামের টেকপাড়ার মোস্তফার ছেলে হিমেল (২৬), শেরুর ছেলে এনামুল (২৫), মনির হোসেনের ছেলে সুজন (২৪)।
এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১ টায় আড়াইহাজার থানাধীন সাতগ্রাম ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বাদীনির মেয়ে (২৬) এর বিবাহ হওয়ার পর তার স্বামী প্রবাসে থাকায় সন্তান নিয়া বাদীনির বাড়ীতে অবস্থান করে আসছিল। বাদীনির কন্যা প্রায়ই বিভিন্ন জরুরী কাজে স্থানীয় এলাকার বাজারে আসা-যাওয়ার পথে বিবাদীগন উত্যক্ত সহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দেয়। এতে সাড়া না দেয়ায় ক্ষুব্দ হয়ে ঘটনার সময় বাদীনি প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বসত ঘরের দরজার খিল খুলিয়া বাইরে গেলে বিবাদীগন বসত ঘরে প্রবেশ করে। এরপর দুজন বাদীনিকে ধরে মারধর করে এবং বসত ঘরে নিয়া মুখ বেধে পার্শ্ববর্তী রুমে বন্দি করে রাখে। বাদীনির মেয়ে প্রতিবাদ করিলে তাকে বিবাদীরা মারধর করে এবং তাদের সাথে থাকা ধারালো চাকু দ্বারা হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে আশিক ও এনামুল বাদীনির মেয়েকে জোরপূর্বক কয়েকদফা ধর্ষণ করে। আশিক ও ছরহাব এসময় বাদীনিকে পার্শ্ববর্তী রুমে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত যারা যৌন হয়রানী করে। একই সাথে আশিক, ছরহাব ও সুজন তাদের হাতে থাকা তাদের মোবাইলে বাদীনির কন্যার নগ্ন আপত্তিকর ছবি সহ ভিডিও ধারণ করে উক্ত বিষয়ে কারো কাছে নালিশ অথবা থানা পুলিশকে করলে উক্ত ছবি সহ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি প্রদান করে।
পরবর্তীতে সকালে বাদীনির মেয়ে বিষ খাইয়া আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাৎক্ষনিক বাদীনির মেয়েকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। বর্তমানে সে ঢাকা কলেজ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি আছে।
এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক তৈয়ব জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ইতিমধ্যেই কাজ করা শুরু করে দিয়েছে।