নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়ণের ইলুমদী গ্রামের আলী হোসেন (৪২) এর স্ত্রী ফারজানা বেগম পরকিয়ায় লিপ্ত হয়ে তার টাকা পয়সা ও স্বর্ণ অংলকার নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। তাছাড়া স্বামীর সর্বস্ব নিয়ে প্রবাস থেকে পরকিয়া প্রেমিকের সাথে দেশে চলে এসে প্রবাসে থাকা স্বামী সহ তার পরিবারের সব সদস্যদের নামে মিথ্যা যৌতুক মামলা দিয়ে হয়রানী করছে এমন অভিযোগ উঠেছে ফারজানার বিরুদ্ধে।
দুবাই প্রবাসী আলী হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানায়, ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আড়াইহাজার ইলুমদী গ্রামের নিয়ত আলীর পুত্র আলী হোসেনের সাথে বিয়ে হয় নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার বুরুটিয়া এলাকার জামানের মেয়ে ফারজানার। এরপর তাদের দুই পুত্র সন্তান হওয়ার পর স্বামী আলী হোসেন দুবাই চলে যান। ২০১৮ সালে তিনি স্ত্রী ফারজানাসহ তাদের ২ ছেলে রাহাত ও সিরাত কে ও দুবাইতে নিয়ে যান। সেখানে তাদের সুখের সংসার চলা কালে ফারজানা জড়িয়ে পড়েন চট্টগ্রামের দুবাই প্রবাসী মাহবুব নামের এক যুবকের সঙ্গে। এ ঘটনা স্বামীর কাছে ধরা পড়লে আলী হোসেন স্ত্রী ফারজানাকে শাসন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফারজানা তার উপর নির্যাতনের অভিযোগ এনে স্বামীকে দুবাই পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়ে স্বামীর প্রবাসে থাকার ব্যবসার ৫০ লাখ টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ গয়না নিয়ে দুই ছেলেসহ পরকিয়া প্রেমিক মাহবুবের সঙ্গে দেশে চলে আসেন। পরে দুবাইয়ের রাস আল খাইমাহ আদালত থেকে আলী হোসেন তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় বেকসুর খালাস পেয়ে দুবাইতে তার বাসায় এসে দেখেন তার স্ত্রী সন্তানদেরকে নিয়ে তার টাকা পয়সা স্বর্ণ গয়না আত্মসাৎ করে দেশে চলে এসেছেন। এদিকে দেশে এসে আবার নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রবাসী স্বামীসহ তার পরিবারের ৭ সদস্যের নামে নারী নির্যাতন ও যৌতুক আইনে একটি মামলা করেন ফারজানা।
নারায়ণগঞ্জ আদালতে দায়েরকৃত মিথ্যা যৌতুক মামলায় ফারজানা তাকে তার স্বামীর পরিবারের ৭ সদস্য যৌতুকের দাবীতে স্বামীর বাড়ীতে নির্যাতন করা কথা উল্লেখ করেেলও সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে গিয়ে জানা যায় যে, ফারজানা দেশে আসার পর কোনদিন তার স্বামীর বাড়ী ই্লুমদীতে যাননি। তা হলে তার উপর যৌতুকের দাবীতে অত্যাচার কি ভাবে করা হলো? এই প্রশ্ন ভুক্তভুগি পরিবারটির। এ বিষয়ে আলী হোসেনের পিতা নিয়ত আলী বিজ্ঞ আদালতের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।