আড়াইহাজার প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের খালিয়ারচর এলাকা কোরবানির পশুর চামড়া কেনা নিয়ে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে তিন ব্যক্তিকে চাপাতি দিয়ে উপর্যুপরি কোপানো হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহতরা হলো, উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের খালিয়ারচর এলাকার জজ মিয়ার ছেলে শেখ ফরিদ (৩২), তার সহযোগী দানিছ মিয়ার ছেলে মাসুম (২২) একই এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে সেনটু মিয়া (৪২)।
২৯ জুন সকাল ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। আহত শেখ ফরিদের বাবা জজ মিয়া বাদী হয়ে ১২জন আসামী করে মামলাটি করেন। তবে পুলিশ এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৯ জুন শেখ ফরিদ তার আরও দুই সহযোগি নিয়ে খালিয়ারচর এলাকা জৈনক সলিমুল্লার কাছ থেকে কুরবানির পশুর চামড়া ক্রয় করতে যান। এসময় একই এলাকার মনির হোসেন ও শাকিল সহ অভিযুক্ত অন্যান্যরা ফরিদসহ অন্যদের চলে যেতে বলেন। এসময় ফরিদ তাতে প্রতিবাদ করে। এক পর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে ফরিদসহ তার দুই সহযোগিকে এলোপাথারি দা, চাপাতি ও ছুরি দিয়ে উর্যুপরি কোপানো হয়। পরে তাদের পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র আসামীদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।