![](/wp-content/uploads/2023/06/Jamalpur-Journalist-Nadeem-was-beaten-to-death-pic-1-85f9edf1f1f248965f2aa932ba7b89f1-7992904818a92efc9254e223303d3cd1.jpg)
স্টাফ রির্পোটারঃ জামালপুরের বকশীগঞ্জে রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। ১৬ জুন শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ছয়জন অভিজুক্তকে গ্রেপ্তার করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি সোহেল রানা।
সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের গোমের চর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে। গুরুতর আহত নাদিম বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ময়মনসিংহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
জানা গেছে, বুধবার অফিসের কাজ শেষে রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন গোলাম রাব্বানী নাদিম ও তার সহকর্মী আল মুজাহিদ বাবু। পথে বকশিগঞ্জ পাথাটিয়ায় পৌঁছালে সামনে থেকে অতর্কিত আঘাত করে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর দেশীয় অস্ত্রধারী ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত তাকে সড়ক থেকে মারধর করতে করতে টেনে-হিঁচড়ে অন্ধকার গলিতে নিয়ে যায় এবং তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। সেসময় সহকর্মী মুজাহিদ তাদের আটকাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
এর আগে, গত ১৪ মে ময়মনসিংহ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে জামালপুরে নাদিমসহ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদুল আলম বাবু। ১৪ জুন মামলাটি খারিজ করেন আদালত।
নিহত গোলাম রব্বানির স্ত্রী মনিরা বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। আগেও তিনি নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করেছেন। ওই ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজনই হামলা করে আমার স্বামীকে হত্যা করেছেন।
নাদিমের মৃত্যুর পর জামালপুর জেলাসহ সারা দেশে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।