স্টাফ রির্পোটার: নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় নলপাথর এলাকায় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার ২ পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। রবিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে রূপগঞ্জের কালাতি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন রূপগঞ্জের কালাতি এলাকার মো. লাল মিয়ার ছেলে মো. সোহাগ (২২) ও একই এলাকার জাহিদুল ভূঁইয়ার ছেলে মো. তাইজুল ইসলাম।
এর আগে, অই কিশোরীর দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার বাড়ৈপাড়া এলাকার হৃদয় নামে এক যুবকের সাথে তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে হৃদয় তাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ বাড়ি বাড়ৈপাড়া নিয়ে যাবে বলে আসতে বলে। কিশোরী তার কথামতো নলপাথর এলাকার রিজেন্ট টাউনের সামনে গেলে হৃদয়সহ ৫ জন যুবক তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আবাসন কোম্পানির অভ্যন্তরে কাশবনের ভেতর নির্জন স্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করে। পরে কিশোরীর হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে তাকে সেখানে ফেলে রেখে যায় প্রেমিক হৃদয়সহ বাকিরা। পরে স্থানীয় কয়েকজন লোক তাকে দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এর কল করে পুলিশের সহায়তা চায়। পুলিশ বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে।ওই গণধর্ষণের ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে এই ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায়, ঘটনার পরপরই এই গণধর্ষণের সাথে জড়িত এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীগণ গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। এই ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-১১ এর সদর কোম্পানীর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরে মাঠ পর্যায়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এই গণধর্ষণের সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামীদের সনাক্ত ও তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ৩০ অক্টোবর ভোরে রূপগঞ্জের কালাতি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ওই আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উপরোক্ত গণধর্ষণের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।