জেলা সংবাদ

আড়াইহাজারে লকডাউনে ব্যাটারি চালিত রিক্সা সহ ঢল নেমেছে যানবাহনের

স্টাফ রির্পোটার: নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার উপজেলার লকডাউন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাস্তায় চলছে ব্যাক্তি মালিকানা প্রাইভেট কার, টেক্সি, লেগুনা, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও অটো সকাল থেকেই চলাচল করতে দেখা গিয়েছে। কুমিল্লা ও ব্রাহ্মবাড়িয়া জেলা থেকে বিশনন্দী ফেরিঘাট দিয়ে ঝাকে ঝাকে প্রবেশ করছে ব্যাক্তি মালিকানা গাড়ী, এম্বুলেন্স সহ বিভিন্ন যানবাহন।

আড়াইহাজার উপজেলা প্রসাশনের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট উজ্জল হোসেন ও থানা পুলিশ বিভিন্ন সড়কে চেক পোস্ট বসিয়ে নরসিংদী-মদনপুর দিক থেকে আসা গাড়ী গুলো আড়াইহাজারে প্রবেশ করতে না দিয়ে আবার পূর্ব অবস্থানের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছু সংখ্যাক যানবাহনকে স্থানীয় বিভিন্ন রোডে সিএনজি চালিত অটো রিক্সা, ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা চলাচলের ঢল দেখা গিয়েছে। উপজেলায় অবস্থিত স্টীল ব্রিজে আগের মতোই যানজট দেখা গিয়েছে।

উপজেলার প্রতিটি হাট বাজারে খোলা খাবার দোকান, চায়ের দোকান, লাইব্রেরী ও ইলেকট্রনিক্স মালামালের দোকান গুলো সচেতনে ফিরে আসেনি সাধারণ মানুষ। চা স্টল বা খাবারের দোকানে কোনো স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই খাবার খেয়ে যাচ্ছে। বেশীর ভাগ মানুষেরই মাক্স ব্যবহার করতে দেখা করতে যায়নি। এমনি ভাবে চলাচল করতে থাকলে আড়াইহাজারে করোনার সংক্রমণ বাড়তেই থাকবে।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে সকাল থেকে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে৷ শহরের মার্কেট ও দোকানপাট অধিকাংশ বন্ধ থাকলেও শহরতলীতে অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতোই দোকানপাট খোলা রয়েছে৷ মানুষের চলাচলেও স্বাভাবিকতা দেখা গেছে৷ তবে শহরের কয়েকটি পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে৷ পুলিশ সড়কে বের হওয়া রিকশাগুলো থামিয়ে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে৷

আরও পড়ুন >   আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল আটটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহর ও আশেপাশের কয়েকটি এলাকায় এই চিত্র দেখা যায়৷ করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত সাত দিনের লকডাউনের প্রথম দিন আজ৷

লকডাউন চলাকালীন জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসা সেবার কাজে নিয়োজিত কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ রয়েছে৷ এছাড়া পণ্যবাহী যান এবং অ্যাম্বুলেন্স চলাচলও করতে পারবে এই সময়ে৷ এদিকে গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানিয়েছিলেন, লকডাউন থাকলেও পোশা কারখানা খোলা রাখা যাবে৷ সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকদের কারখানার ভেতরে রেখেই উৎপাদন কার্যক্রম চালাতে হবে৷

সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীতে যান চলাচল প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কোনো যান প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। তবে কিছু রিকশা শহরে চলাচল করতে দেখা গেছে৷ সেক্ষেত্রে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি ও নারী ব্যতীত যাত্রী নামিয়ে দিয়ে রিকশা সড়কের উপর উল্টিয়ে রাখা হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলোও চেক করা হচ্ছে যে ভিতরে রোগী আছে কিনা। অন্যদিকে নদীপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে৷ তবে সীমিত আকারে খেয়া পারাপার চলছে৷

এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে বের হওয়া সাধারণ মানুষ৷ লকাউনের মধ্যেও পোশাক কারখানা খোলা থাকায় দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে কারখানায় পৌঁছাতে দেখা গেছে পোশাক শ্রমিকদের৷ সকালে বৃষ্টির মধ্যেও ছাতা মাথায়, অনেকে ভিজেও কারখানার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে দেখা গেছে৷ কারখানা খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোগান্তিতে পড়া শ্রমিকরা৷

আরও দেখুন

সম্পৃক্ত

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker