আড়াইহাজার উপজেলাঅপরাধসারাদেশে

আড়াইহাজারে স্ত্রীকে হত্যা করে মাটিতে পুতে রাখলো স্বামী

আড়াইহাজার প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার  বিশনন্দী ইউনিয়নের গাজীপুরা গ্রামে পারিবারিক কলহে স্ত্রীকে হত্যার পর বাড়ির পাশে মাটিতে পুতে রাখার অভিযোগ উঠেছে পাষন্ড স্বামী ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে। হত্যাকান্ডের ৬/৭ দিন পর সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ মাটি খুড়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

সোমবার (১৭ জুলাই) রাত ১১ টায় হত্যাকান্ডের আনুমানিত ৬/৭ দিন পর উপজেলা বিশনন্দী ইউনিয়নের গাজীপুরা গ্রাম থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মানসুরা (২৮) উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামী আশরাফ (৩৫) উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের গাজীপুরা গ্রামের জুলহাসের ছেলে। 

নিহতের মামা মোহাম্মদ আলী বলেন, তিন বছর আগে তাদের দুজনের বিয়ে হয়। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের সংসারে দেড় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক কলহ চলছিল তাদের মধ্যে। এর আগে নিহত গৃহবধূ তাকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী শাশুড়ির বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেছিলেন। 

পারিবারিক কলহের কারণে তাদের মাঝে ঝগড়া লেগে থাকত। এই কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ আশরাফকে ও তার মা সেলিনাকে আটক করেছে। 

এদিকে নির্যাতন সইতে না পেলে বেশ কিছু দিন ধরে মানসুরা তার একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি রামচন্দ্রীতেই বসবাস করছিল। গত ১০ জুলাই আদালত থেকে মামলার হাজিরা দিয়ে আসার পর তাকে মোবাইলে ডেকে নেয় তার স্বামী আশাবুল। এরপর থেকে সে আর বাড়িতে ফিরেনি। পরে মানসুরার খোঁজখবর নিতে গেলে তার স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকে। এতে সন্দেহ হলে তারা আড়াইহাজার থানার পুলিশকে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দেন। পুলিশ অভিযোগের তদন্ত শুরু করে এক পর্যায়ে স্বামী আশরাফ ও শাশুড়ি সেলিনাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যা ও হত্যার পর মরদেহ মাটি চাপা দিয়ে রাখার বিষয়টি স্বীকার করে। পরে পুলিশ নিহতের শ্বশুরবাড়ির পাশে ঝোপের মতো নির্জন একটি স্থান থেকে মাটি খুড়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। 

আরও পড়ুন >   আড়াইহাজারে ১১ বছরের শিশুকে মুখ বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক-১

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক তৈয়ব জানান, এ ঘটনায় আশরাফকে ও তার মা সেলিনাকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে জানা গেছে। লাশের গন্ধে স্থানীয়দের দেয়া সংবাদে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। হত্যাকান্ডটি ৬ থেকে ৭ দিন আগে সংঘটিত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

আরও দেখুন

সম্পৃক্ত

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button