স্টাফ রির্পোটার: নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারের টেকপাড়া এলাকায় মাকে আটকে রেখে মায়ের সামনে মেয়েকে গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী সুজন (২৪)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
রোববার (৫ নভেম্বর) র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
শনিবার (৪ নভেম্বর) রূপগঞ্জের কাজীপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত সুজন আড়াইহাজারের সাতগ্রাম ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকার মনির হোসেনের ছেলে। তাকে আড়াইহাজার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এএসপি সনদ বড়ুয়া জানান, আড়াইহাজার থানার টেকপাড়া গ্রামের সেলিনাওরফে সেলি তার মেয়ে শান্তনা (২৫)’কে একই থানার প্রবাসী রাসেল (৩২) এর সাথে বিবাহ দেয়। শান্তনার স্বামী প্রবাসে থাকায় তিনি সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ীতে থাকেন। শান্তনা প্রায়ই বিভিন্ন জরুরী কাজে স্থানীয় এলাকার বাজারে আসা-যাওয়া করার সময় পথে বিবাদীগণ তাকে উত্যক্তসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সাড়া না দেয়ায় বিবাদীগণ ক্ষুব্দ হয়ে ঘটনার তারিখ ও সময়ে ভিকটিমের মা প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বসত ঘরের দরজার খুলে বাইরে গেলে বিবাদীগণ বসত ঘরে প্রবেশ করে। এরপর দুজন ভিকটিমের মাকে ধরে মারধর করে এবং বসত ঘরে নিয়ে মুখ বেধে রুমে আটকে রাখে। এতে ভিকটিম প্রতিবাদ করলে তাকে বিবাদীরা মারধর করে এবং তাদের সাথে থাকা ধারালো চাকু দ্বারা হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে আশিক, সুজন, হিমেল ও এনামুল ভিকটিমকে জোরপূর্বক কয়েকদফা ধর্ষণ করে। একই সাথে আশিক, ছরহাব ও সুজন তাদের হাতে থাকা তাদের মোবাইলে ভিকটিমের নগ্ন ও আপত্তিকর ছবিসহ ভিডিও ধারণ করে। উক্ত বিষয়ে কারো কাছে নালিশ অথবা থানা পুলিশকে জানালে বিবাদীগণ উক্ত ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে ভিকটিম বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য রেফার্ড করে। এই ঘটনায় ধর্ষিতার মা সেলিনা ওরফে সেলি বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আড়াইহাজার থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর থেকে আসামী বিবাদীগণ আত্মগোপনে চলে যায়।